রোববার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে এ কথা জানান তিনি।
আদালতের নির্দেশে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য গত ৩০ মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। এরপর কামদা প্রসাদ সাহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি চিকিৎসক দল ময়নাতদন্ত করে।
এ দলের অন্য সদস্যরা হলেন- কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের প্রধান করুণা রানী কর্মকার ও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক মো. ওমর ফারুক।
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় নিজের বাড়ির কয়েকশ গজের মধ্যে ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনুর লাশ পাওয়া যায়। তাকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়।
এ ঘটনায় তনুর বাবা ইয়ার হোসেন কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন, তার তদন্ত করছে সিআইডি।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ মার্চ প্রথম দফা ময়নাতদন্তের পর তনুকে মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ৪ এপ্রিল চিকিৎসকরা জানান, তারা ধর্ষণের কোনো আলামত পাননি।
অবশ্য এর চার দিন আগেই আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ তুলে তনুর দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করেন চিকিৎসকরা।
তদন্ত কর্মকর্তারা তনুর পরিবারের চার সদস্যসহ নয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও এ পর্যন্ত খুনিকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ওই ঘটনায় দুই সেনা সদস্যের জড়িত থাকার ইংগিত দিয়ে তনুর মা আনোয়ারা বেগম গত ১০ মে কুমিল্লায় সাংবাদিকদের বলেন, “কুমিল্লা সেনানিবাসের সার্জেন্ট জাহিদ ও সিপাহী জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।”