তনু হত্যায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ‘শিগগিরই’

কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ‘শিগশিরই’ জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 May 2016, 07:23 AM
Updated : 15 May 2016, 07:29 AM

রোববার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে এ কথা জানান তিনি।

আদালতের নির্দেশে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য গত ৩০ মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। এরপর কামদা প্রসাদ সাহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি চিকিৎসক দল ময়নাতদন্ত করে।

এ দলের অন্য সদস্যরা হলেন- কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের প্রধান করুণা রানী কর্মকার ও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক মো. ওমর ফারুক।

কামদা প্রসাদ বলেন, “ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে আমরা শনিবার পর্যালোচনা করেছি। এখন পর্যন্ত আমরা ডিএনএ প্রতিবেদন পাইনি। তারপরও শিগগিরই প্রতিবেদন দেওয়া যাবে বলে আমরা একমত হয়েছি।”

গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় নিজের বাড়ির কয়েকশ গজের মধ্যে ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনুর লাশ পাওয়া যায়। তাকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়।  

এ ঘটনায় তনুর বাবা ইয়ার হোসেন কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন, তার তদন্ত করছে সিআইডি।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ মার্চ প্রথম দফা ময়নাতদন্তের পর তনুকে মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ৪ এপ্রিল চিকিৎসকরা জানান, তারা ধর্ষণের কোনো আলামত পাননি।

অবশ্য এর চার দিন আগেই আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ তুলে তনুর দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করেন চিকিৎসকরা।

কুমিল্লা সেনানিবাসের মতো জায়গায় সেনানিবাসেরই এক কর্মচারীর মেয়ের এভাবে মৃত্যু তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। তনু হত্যার বিচার দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের আহবানে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক ঘণ্টা ধর্মঘট ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সারাদেশে ছাত্র ধর্মঘট পালন করে।

তদন্ত কর্মকর্তারা তনুর পরিবারের চার সদস্যসহ নয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও এ পর্যন্ত খুনিকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

ওই ঘটনায় দুই সেনা সদস্যের জড়িত থাকার ইংগিত দিয়ে তনুর মা আনোয়ারা বেগম গত ১০ মে কুমিল্লায় সাংবাদিকদের বলেন, “কুমিল্লা সেনানিবাসের সার্জেন্ট জাহিদ ও সিপাহী জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।”