তনুর মায়ের দাবি, হত্যায় দুই সেনা সদস্য জড়িত

কুমিল্লা সেনানিবাসে কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যায় দুই সেনা সদস্য জড়িত বলে দাবি করেছেন তার মা।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2016, 01:28 PM
Updated : 10 May 2016, 01:28 PM

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে সপ্তম বারের মতো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে আনলে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তনুর বাবা ইয়ার হোসেন ও মা আনোয়ারা বেগম।

এ হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত’ দাবি করে ইয়ার হোসেন ও আনোয়ারা বেগম বলেন, কুমিল্লা সেনানিবাসের সার্জেন্ট জাহিদ ও সিপাহী জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।

“বার বার জিজ্ঞাসাবাদে আমরা ক্লান্ত ও ক্ষুব্ধ। যাদের বাসায় পড়াতে গিয়ে তনু খুন হল, তাদের কাউকেই ওইভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না,” বলেন আনোয়ারা।

তিনি বলেন, “সেনাবাহিনীর স্টাডি ইউনিটের একটি অনুষ্ঠনে গান গাইতে তনুকে অনুরোধ করা হয়েছিল। গান না গেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সিলেটে চলে যায় তনু। এ থেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে তনুকে হত্যা করা হয়।”

এ খুনে সার্জেন্ট জাহিদ, তার স্ত্রী এবং সিপাহী জাহিদ জড়িত বলে দাবি করেন আনোয়ারা।

“এর বাইরে যদি আর কোনো রহস্য থাকে তাহলে তাও খুঁজে বের করা দরকার,” বলেন তনুর মা।

গত মার্চে কুমিল্লা সেনানিবাসে তনুর লাশ পাওয়ার পর তা নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে সেনা কর্তৃপক্ষ এই খুনের তদন্তে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। 

মঙ্গলবার তনুর পরিবারের চার সদস্যসহ নয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত সংস্থা সিআইডি, যারা দুই মাসেও কোনো খুনিকে শনাক্ত করতে পারেনি।

সিআইডি ঢাকার সিনিয়র বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আকন্দের নেতৃত্বে একটি দল তনুর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

‘স্টাডি ইউনিটের অনুষ্ঠানে তনুর প্রত্যাখ্যানের’ পর ওই অনুষ্ঠানে গান গাওয়া কুমিল্লার শিল্পীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এছাড়া তনুর সহপাঠী সেনানিবাস এলাকার বুধৈর গ্রামের মাহমুদুল বাশার, একই এলাকার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের এয়ার হোসেন শামীম, তনুর ভাই আনোয়ার হোসেন এবং চাচাত বোন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী লাইজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।