হবিগঞ্জের বাহুবলে চার শিশু হত্যার বিষয়ে ‘পুলিশের কাজে গাফিলতির’ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Published : 22 Feb 2016, 05:17 PM
সোমবার হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলামকে প্রধান তিন সদস্যের ওই কমিটি করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র।
তিনি বলেন, চার শিশুর হত্যার ঘটনার পর থেকেই বাহুবল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে গাফলতির অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ অন্যান্যের সামনে এ অভিযোগ করা হয় বলে জানান তিনি।
“এ প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।”
“কমিটিকে মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ দোষী হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন হবিগঞ্জ ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় এবং হবিগঞ্জ আদালত পুলিশ পরিদর্শক কাজী কামাল উদ্দিন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু খেলা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এর পাঁচ দিন পর তাদের বালিচাপা দেওয়া লাশ পাওয়া যায়।
নিহত শিশুরা হলো স্থানীয় আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) এবং আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।
মনির সুন্দ্রাটেকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে এবং তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটেকি মাদ্রাসার ছাত্র।
ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই ভাই জুয়েল ও রুবেল ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন সালেহ আহমেদ,জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়ার বাবা আব্দুল আলী বাগাল,আজিজুর রহমান আরজু ও বশির। আরজু ও বশিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়া হয়েছে।