মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলির বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংসদ সদস্য এ কথা বলেন।
Published : 09 Jan 2024, 08:01 PM
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করলেই শুধু’ স্বতন্ত্রদের নিয়ে বিরোধী দল গঠনের বিষয়টি সামনে এগোতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এ কে আজাদ।
ফরিদপুর-৩ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিজয়ী এ কে আজাদ বলেন, “যেহেতু জাতীয় পার্টি মাত্র ১১টি সিট পেয়েছে আর স্বতন্ত্র পেয়েছে ৬২টি। যদি নেত্রী (শেখ হাসিনা) মনে করেন, আমাদের বিরোধী দল গঠন করা উচিত…
“এরই মধ্যেই বিদেশ থেকে ফোন এসেছে যে আপনাকে নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে, আপনি কি বিরোধী দলের নেতা হতে রাজি আছেন কি-না। আমি বলেছি, সবকিছুই তো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বাইরে গিয়ে তো আমরা কিছু করতে পারব না”, বলেন সংসদ সদস্য।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে কারা বিরোধী দলের আসনে বসছে সেটি নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। ভোটের পরদিন সোমবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, বিষয়টি নতুন প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবেন।
যদিও ওইদিন দুপুরে গণভবনে ভারতীয় এক সাংবাদিকের একই বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আপনি আমাকে বিরোধীদলের জন্য একটি রাজনৈতিক দল সংগঠন করতে বলেন, আপনি যদি চান আমি করে দিতে পারি। কিন্তু সেটাতো সত্যিকারের বিরোধী দল হবে না, তাই না?”
একই বিষয়ে ওইদিন বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ““স্বতন্ত্র যারা জয়লাভ করেছেন, তাদের অবস্থান কী- সেটা যতক্ষণ না পর্যন্ত পরিষ্কার হবে; তারা নিজেরা জোট করবেন নাকি আলাদা থাকবেন- সেটি যতক্ষণ পর্যন্ত পরিষ্কার না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিরোধী দল কে, কাকে বলা হবে সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।”
মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলির বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংসদ সদস্য এ কে আজাদ আরও বলেন, “নেত্রী আহ্বান করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাড়ানোর জন্য। নেত্রীর আহ্বানেই কিন্তু আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আওয়ামী লীগের বাইরের লোক কিন্তু আমরা না। আমার এখানে যারা উপস্থিত রয়েছেন তারা সবাই কিন্তু আওয়ামী লীগের পদাধিকার ব্যক্তি।”
এ সময় নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমৃদ্ধ ফরিদপুর গঠনের অঙ্গীকার করেন এ কে আজাদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ফারুক হোসেন, সাংবাদিক প্রবীর শিকদার।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল হাসান মিঠু, শহিদুল ইসলাম মিরু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুসরাত রাসুল তানিয়া উপস্থিত ছিলেন।
এ কে আজাদ ঈগল প্রতীকে এক লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৯ টি। আজাদ ৫৯ হাজার ৯ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।