গুরুতর জখম হওয়ায় একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Published : 08 Jan 2024, 02:03 PM
পটুয়াখালী-৪ আসনের বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যাওয়ার পথে নৌকার ৭ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী হাটখোলা বাজার সংলগ্ন মুজিব কিল্লা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মদ।
হামলায় আহতরা হলেন, বশির চৌকিদার (৫৫), মো. মিজানুর রহমান (৫০), শিপন (৪০), ইদ্রিস প্যাদা (৬৪), মো. সোহেল (৪২), মিজানুর রহমান হাওলাদার (৪৮) ও আকিব (২৪)।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার চিন্ময় চন্দ্র হালদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সাত জনকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের সবার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কম বেশি দায়ের কোপ ও লাঠির আঘাত রয়েছে।
এর মধ্যে বশির চৌকিদার গুরুতর জখম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মিজানুর রহমান হাওলাদার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান এই চিকিৎসক।
আহতরা ও স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে টিয়াখালী ইউনিয়নের হাটখোলা বাজার থেকে পটুয়াখালী-৪ আসনের বিজয়ী প্রার্থী মো. মহিব্বুর রহমান মহিবের সঙ্গে দেখা করতে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন নৌকার সমর্থকরা।
তারা বাজার সংলগ্ন মুজিব কিল্লা এলাকায় পৌঁছালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লার নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়।
সুজন মোল্লা ঈগল প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদারের সমর্থক।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তার বাড়ি তিন কিলোমিটার দূরে।
তিনি বলেন, “পূর্বের জুয়েল মার্ডার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। কারণ যারা আহত হয়েছেন তারা বেশির ভাগই জুয়েল মার্ডার মামলার আসামি। নৌকার সমর্থন করে জয়ী হবার পর আসামিরা বাদী খোকন প্যাদার বাড়িতে হামলা করেছে। তখন তারা প্রতিহত করে তাদের উপর পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এটাই সত্য ঘটনা।”
এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মদ জানান, “এ ঘটনায় এখনো অভিযোগ পাইনি। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”