পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করার পর থেকেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, বলছেন ভুক্তভোগীরা।
Published : 23 Jan 2025, 11:09 PM
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভায় সেবা পেতে ভোগান্তি পোহানোর কথা বলছেন পৌরবাসী।
অন্যদিকে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পৌরসভায় শৃঙ্খলা ও কাজে গতি আনার চেষ্টার কথা বলছেন পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
গত ৫ অগাস্ট সারাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তের মধ্যে ২৬ সেপ্টেম্বর এ পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসাণ করা হয়।
পৌরবাসীর দাবি, এরপর থেকেই গতি হারাতে থাকে পৌরসভার নাগরিক সেবা কার্যক্রমের।
এখন ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম ও মৃত্যুসনদ, নাগরিকত্বের সনদপত্র, উত্তরাধিকার সনদ গ্রহনসহ নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তির কথা বলছেন একাধিক বাসিন্দা।
মুকসুদপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা খবিরউদ্দিন মিয়া, সবুরণ বেগম, সামছুল আরেফীন বলেন, সনদ পাওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের (কাউন্সিলর) সুপারিশ নিতে হত। তাদের অপসারণ করায় নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার সুপারিশ নিতে হয়।
নাগরিকদের অভিযোগ, কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা সপ্তাহে এক-দুই দিন বা মাসে একদিন এসব কাজ করছেন।
ফলে পৌরবাসী কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
এ বিষয়ে পৌরসভার সচিব মো. মাসুদ আলম বলেন, পৌর এলাকার নাগরিকদের সমস্যা সমাধানে নিরলসভাবে কাজ হচ্ছে।
তার ভাষ্য, এ পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের নয়জন পুরুষ এবং সংরক্ষিত তিনজনসহ মোট ১২ জন জনপ্রতিনিধির কাজ স্টাফদের করতে হচ্ছে। প্রশাসকের কাজ সহজ করতে ছয়জন সরকারি কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তারা অফিসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাই পৌরসভার কাজে সময় দিতে পারেন না। এ কারণে পৌর সেবার গতি অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে পৌরসভার প্রশাসক ও মুকসুদপুরের ইউএনও তাসনিম আক্তার বলেন, “আমি সবেমাত্র এ উপজেলায় যোগদান করেছি। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পৌরসভায় শৃঙ্খলা আনতে চেষ্টা করছি। যোগদানের পর এখন পর্যন্ত পৌরসভায় সভা করতে পারিনি।
“পৌর এলাকার সব নাগরিক সেবা সহজে দিতে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্য বলেছি। তবে সঠিক ও নির্ভুল কাজ করতে সময়েরও প্রয়োজন রয়েছে।”
পৌরবাসীকে সার্বিক সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান এ কর্মকর্তা।