“যিনি অভিযোগ করছেন তিনি বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তিনি এ ধরনের অভিযোগ তুলেছেন। এটা আদৌ সত্য নয়।”
Published : 25 May 2024, 07:43 PM
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারে অংশ নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
বৃহস্পতিবার রংপুর-১ (গংগাচড়া ও রংপুর সিটি করপোরেশনের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বাবলুর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী (বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত) মোকাররম হোসেন সুজন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, “তৃতীয় ধাপে ২৯ মে গংগাচড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ আবশ্যক, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত যে, সংসদ সদস্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সংসদ সদস্য মো. আসাদুজ্জামান বাবলু কাপ-পিরিচ মার্কার প্রার্থী মো. রুহুল আমির পক্ষে সক্রিয়ভাবে প্রচারে অংশগ্রহণ করেন। এমনকি তার স্থানীয় প্রতিনিধি আব্দুল মতিন অভিসহ সমর্থকদেরকেও উল্লিখিত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারে অংশগ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন।
“একই সঙ্গে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তিনি বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার এহেন কর্মকাণ্ডে জনমনে ভীতির সঞ্চার সৃষ্টি করেছে। ফলশ্রুতিতে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভোটদানে অনাগ্রহ এবং ভোটপ্রদান থেকে বিরত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আমার গভীর বিশ্বাস, নির্বাচনকালীন এমপি মহোদয় নির্বাচনি এলাকায় অবস্থান করলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।”
অভিযোগে মোকাররম হোসেন সুজন বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, “আমি কারো পক্ষেই নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেইনি। যিনি অভিযোগ করছেন তিনি বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তিনি এ ধরনের অভিযোগ তুলেছেন। এটা আদৌ সত্য নয়।
“ভোটের দিনই এরা আবার বলবে ভোট সুষ্ঠু হয়নি, এই বলে নির্বাচন বয়কট করবে। এটা বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ভোট প্রভাবমুক্ত ও সুষ্ঠু হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ওই প্রার্থী ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্ন করার জন্য এ ধরনের অভিযোগ তুলেছেন।”
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোকাররম হোসেন সুজন বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও প্রধানমন্ত্রীর কোনো নির্দেশ এবং নীতিমালায় মানছেন না এমপির লোকজন। তারা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে ভোট চাচ্ছেন, এটা খুবই দুঃখজনক।
“আমি বারবার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেছি। তাদের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিতে বাধ্য হয়েছি। আমি চাই এমপি ও তার লোকজনের প্রভাবমুক্ত ভোট পরিবেশ সৃষ্টি করুক।”
এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না বলেন, “প্রার্থী সুজন অভিযোগটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দিয়ে আমাদের অনুলিপি দিয়েছেন। এমপিরা এলাকায় থাকলে একটা প্রভাব দেখা যায়। আমরা বিষয়টি এমপিকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। এ ছাড়া বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডিসি স্যারকেও জানানো হয়েছে।”
তাদের পক্ষ থেকেও সংসদ সদস্যকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ইউএনও।