মেলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ছিল। আমরা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছি, বলেন ইউএনও।
Published : 12 Jan 2025, 10:27 PM
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় ফাইলা পাগলার মেলা বন্ধ ঘোষণা করেছে যৌথবাহিনী।
রোববার বিকালে উপজেলার দাড়িয়াপুরে ফাইলা পাগলার মাজার প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ অভিযান শেষে মেলা বন্ধের ঘোষণা দেয়।
স্থানীয়রা বলেন, ১৯৪৯ সালে উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামে প্রথম ফাইলা পাগলার মেলা শুরু হয়। হিজরি রজব মাসের প্রথম দিন থেকে মেলা শুরু হয়ে মাসব্যাপী চলে। মানতকারী ভক্ত-দর্শণার্থীদের আনাগোনা থাকে মাসব্যাপী। তবে মাজারের ওরশ হয় তিন দিন। পূর্ণিমার রাতে থাকে বড় আয়োজন।
এ সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন বাদ্য বাজিয়ে মানত করা জিনিসপত্র নিয়ে হাজির হন। মাজারের চারপাশ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লোকজন মোরগ, গরু-খাসি জবাই করে মানত পূরণ করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাজার ঘেঁষেই পাগল-ভক্তদের বসার আস্তানায় প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন করা হয়। এ ছাড়া মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতি রাতে অশ্লীল নৃত্যের আয়োজন করা হয় বলেও তাদের অভিযোগ।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন। পরে রোববার বিকালে যৌথবাহিনী মেলা বন্ধে অভিযান চালায়।
সখীপুরের ইউএনও আবদুল্লাহ আল রনি বলেন, “মেলার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ছিল। আমরা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছি। এ কারণে মেলাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”
এ সময় ব্যবসায়ী ও আগত দর্শণার্থীদের মেলাস্থল ত্যাগ করতে ১৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
পরে দোকানপাট সরিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদের দুই ঘণ্টা সময় দেয় যৌথবাহিনী। মেলায় আসা লোকজন দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
তবে মেলায় বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে আসা ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হন। তারা মালামাল সরাতে দুই দিন সময় চান।
মাজার কমিটির সভাপতি কবির হাসান অভিযোগ করে বলেন, “একটি মহল মেলাটি বন্ধ করার জন্য পাঁয়তারা করছে। মাজারের পাশ থেকে পাগল ভক্তদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবুও মেলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
মেলাটি বন্ধ করায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলেও তার দাবি।
অভিযানে ইউএনও আবদুল্লাহ আল রনী, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এটিএম ফজলে রাব্বি প্রিন্স, সখীপুর থানার ওসি মো. জাকির হোসেন ছিলেন।