শুক্রবার রাতে নওগাঁ সদর, মান্দা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Published : 01 Mar 2025, 07:47 PM
নওগাঁয় পৃথক অভিযানে ডাকাতি-চুরি-ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে নওগাঁ সদর, মান্দা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।
গ্রেপ্তাররা হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা আহসান রাজ (২২) ও দেলুয়াবাড়ী গ্রামের মেহেদী হাসান (৩১), নিয়ামতপুর উপজেলার পরানপুর গ্রামের বিকাশ পাহান (১৭) ও একই উপজেলার দামপুরা গ্রামের জয় কুমার (১৬) এবং সদর উপজেলার বরুনকান্দি গ্রামের আসলাম হোসেন (৬০)।
শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বলেন, এদের মধ্যে চারজনকে ডাকাতির মামলায় এবং একজনকে মাদক বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মালাধর ব্রিজের কাছে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নান্টু কুমারকে মারধর করে টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় ডাকাত দল।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আত্রাই থানায় মামলা করেন।
ওই মামলার সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে নওগাঁ ডিবি পুলিশের নেতৃত্বে আত্রাই থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট এলাকা থেকে আহসান রাজকে গ্রেপ্তার করে।
ডাকাত চক্রের সদস্য আহসান রাজের বিরুদ্ধে নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর নওগাঁর সাপাহার উপজেলার মাইপুর খাড়ী এলাকায় ভটভটি আটকে গরু ব্যবসায়ীদের মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় পরানপুর ও দামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিকাশ পাহান ও জয় কুমার নামে ‘ডাকাত চক্রের’ দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই ডাকাতি মামলায় আগে আরও আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এছাড়া নওগাঁ সদর উপজেলার বরুনকান্দি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ডাকাতি ও চুরির অভিযোগে ছয়টি মামলার আসামি আসলাম হোসেনকে।
অপর একটি অভিযানে মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ী এলাকা থেকে ২০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করা হয় মাদক ব্যবসায়ী মেহেদী হাসানকে।
পুলিশ সুপার সারোয়ার বলেন, “গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ”
গত কয়েকদিনে নওগাঁয় আরও ৯জন ডাকাতকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ও ফারজানা হোসেন, নওগাঁ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আব্দুল মান্নান, নওগাঁ সদর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।