“তার সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে রোহিঙ্গা সন্দেহ হলে তাদের নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করা হয়।কিন্তু সে তখন সবকিছু ঠিকভাবে বলতে পারে নাই।”
Published : 16 Feb 2024, 04:14 PM
কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাসপোর্ট করাতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা তরুণ পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পাসপোর্টের জন্য ছবি তোলার সময় কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তারা ওই রোহিঙ্গাকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণ নিজেকে রোহিঙ্গা বলে পরিচয় দেয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক ১৯ বছর বয়সী ইয়াছির মিয়ানমারের বলিবাজার এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে। সেখান থেকে সে ২০ দিন আগে কক্সবাজারের বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-৯ আসে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা তরুণকে শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুরে মুরাদনগর উপজেলার পশ্চিম ঘোড়াশাল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জাকির হোসেন ও হাসিনা বেগমের ছেলে পরিচয়ে জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে পাসপোর্ট করতে আসেন ওই তরুণ। তার সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে রোহিঙ্গা সন্দেহ হলে তাদের নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করা হয়।
“কিন্তু সে তখন সবকিছু ঠিকভাবে বলতে পারে নাই। তাই তাকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হয় যে, ওই তরুণ রোহিঙ্গা।”
আটক ইয়াছিরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০ দিন আগে মিয়ানমারের বলিবাজার এলাকা থেকে সে কক্সবাজার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসে।
বলিবাজারের বাসিন্দা তার চাচাতো ভাই ওসমান, কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন মদিনা ট্রাভেলসের হাসান মাহমুদ ও মোশাররফ নামে দুই দালালের কাছে পাসপোর্ট করে দিবে বলে চুক্তি করে। সে মোতবেক তার সব কাগজপত্র ওই দুই দালাল তৈরি করে দেয়; এর বেশি সে কিছু জানে না।
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রাজেস বড়ুয়া বলেন, “ভুয়া পরিচয়ে জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে পাসপোর্ট করাতে আসেন ইয়াছির। পাসপোর্ট অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়ে আঙ্গুলে ছাপ ও ছবি তুলতে গেলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে । পরে তারা ডিবি পুলিশকে খবর দিলে তারা গিয়ে ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করে।”
ওই রোহিঙ্গা যুবক কিভাবে জন্মসনদ পেয়েছে, তা তদন্ত করা হবে বলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।