অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ থাকলেও যে যেভাবে পারছেন ঈদযাত্রায় শামিল হচ্ছেন।
Published : 15 Jun 2024, 08:04 PM
দুদিন বাদেই কোরবানির ঈদ। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ছাড়ছেন কর্মজীবী মানুষ। এবার মহাসড়কে নেই চিরচেনা যানজট। তবে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করছেন অনেক যাত্রী।
শনিবার সকাল থেকে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে। মহাসড়ক দুটিতে নির্বিঘ্নে চলছে যানবাহন। বাস, খোলা ট্রাক, পিকআপ যে যেভাবে পারছেন ঈদযাত্রায় শামিল হচ্ছেন।
তবে কিছু পয়েন্টে যাত্রী উঠানামা করায় হঠাৎ থেমে যাচ্ছে যানবাহন। এ ছাড়া মহাসড়কে বড় কোনো দুর্ঘটনায় না পড়লে এবারের ঈদযাত্রায় তেমন ভোগান্তি পোহাতে হবে না বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সকাল থেকে মহাসড়ক দুটি ঘুরে যাত্রী, চালক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সকালে চন্দ্রায় বাস ও যাত্রী ছিল ভরপুর। বাসে ভাড়া বেশি তাই ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষ ট্রাক-পিকআপে করে গন্তব্যে রওনা করছেন।
একই চিত্র দেখা গেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে। অধিকাংশ পোশাক কারখানা ছুটি হয়ে যাওয়ায় যাত্রী চাপ বিকালে আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এবং মহাসড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় গাজীপুর জেলা, হাইওয়ে ও মহানগর পুলিশের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।
পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে রাজশাহীতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন পোশাক কারখানার কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, “স্বাভাবিক সময় আমাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৬০০ টাকা ভাড়া নিয়ে থাকে। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা ভাড়া চাইছে।”
চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে ট্রাকে চেপে রওনা হয়েছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “বাসে অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছে। এ ছাড়া বাসে প্রচুর গরম লাগে। ট্রাকে অল্প টাকায় খোলামেলা পরিবেশে যাতায়াত করা যায়। তবে সড়কে তেমন কোনো যানজট নেই।”
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করে বাস না পেয়ে পিকআপে করে বগুড়া যাচ্ছেন সোয়েটার কারখানার শ্রমিক রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “বাস মালিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। তাই পিকআপে করে স্বজনদের সঙ্গে রওনা দিয়েছি। রোদ না থাকায় এ আবহাওয়ায় ঈদযাত্রা ভালই লাগছে। তবে বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ বাড়বে।”
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, “সকাল থেকে কোনো প্রকার যানজট ছাড়াই মানুষজন চলাচল করছে। বাস-ট্রাক বিকল হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তা সরানো জন্য যথেষ্ট রেকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি।”
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কোথাও যানজট নেই দাবি করে মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, “কিছু কিছু জায়গায় বাস-ট্রাক দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাইওয়ে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।”