মামলায় বলা হয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ৭টায় হরতালের সমর্থনে আসামিরা মশাল মিছিল বের করে।
Published : 20 Feb 2025, 12:09 AM
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় হরতালের সমর্থনে মশাল মিছিলের ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাদেরও আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতা রিপন শেখ বুধবার বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইনে ৯৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন বলে ধুনট থানার ওসি সহিদুল আলম জানান।
মামলায় ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসিব ইকবার সনি, এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ তারেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সোবহান, গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত আলী লিটন, দৈনিক দিনকালের ধুনট উপজেলা প্রতিনিধি ইমরান হোসেন ইমন, গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন বিপুলের নাম আসামি হিসেবে রয়েছেন।
মামলায় বলা হয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ৭টায় হরতালের সমর্থনে আসামিরা মশাল মিছিল বের করে। তখন আসামিরা পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, হাতবোমা ও লাঠি নিয়ে বাদীকে আক্রমণ করেন। এ সময় তারা হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
মামলার ৯ নম্বর আসামি ধুনট মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবং দৈনিক দিনকালের উপজেলা প্রতিনিধি ইমরান হোসেন ইমন বলেন, “কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলাম না। স্বাধীন সাংবাদিকতা করি। আওয়ামী লীগের মশাল মিছিলের বিষয়টি আমি নিজে ওসিকে বলি। পরে আমার নিজস্ব অনলাইনে নিউজ ও ছবি আপলোড করি। এটা নিয়ে একটি মহল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে আসামি করেছে।”
বিএনপি নেতা সানোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, “বাদীকে ম্যানেজ করে বিএনপির একজন নেতা এটা করিয়েছেন।”
সাংবাদিক ইমন ও বিএনপি নেতা সানোয়ার উভয়েই আসামি করার জন্য উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল মুনছুর পাশাকে দায়ী করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে আবুল মুনছুর পাশার মোবাইলে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি।
গোঁসাইবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে যদি বিএনপির লোকই মামলা করে তাহলে কোথায় দাঁড়াব আমরা? আমি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসামি করার প্রতিবাদ জানিয়েছি।”
গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত আলী লিটনের বিরুদ্ধে আগে কোনো মামলা ছিল না বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী রিক্তা বেগম। তিনি বলেন, “তবু সোমবার বিকাল ৫টায় পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেল। অজ্ঞাত আসামি হিসাবে কয়েক বছর আগের মামলায় মঙ্গলবার তাকে কারাগারে পাঠায়। এরপর বুধবার তাকে আরেকটি মামলায় জড়াল।”
ধুনট থানার ওসি সফিকুল আলম বলেন, “স্থানীয় বিএনপির এক কর্মী মামলা করেছেন। তখন আমি থানায় ছিলাম না। তবে মামলা তদন্ত করে দেখব আসলেই কারা জড়িত ছিল। অন্যায়ভাবে কাউকেই হয়রানি করা যাবে না।”
আরও পড়ুন
হরতাল: বগুড়ায় মশাল মিছিলের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা