“৬ অগাস্ট বিকালে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা বিদ্রোহ করেন। তারা কারাগারের ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হন।”
Published : 05 Sep 2024, 07:12 PM
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক তিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আদমজী এলাকায় র্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জ সদরে আগের দিন অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আড়াইহাজার উপজেলার নয়াগাঁও এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে মোসাদ্দেক ওরফে সাদেক আলী (৩২), একই এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে মো. জাকারিয়া (৩২) ও মুন্সীগঞ্জ সদরের চরমুক্তারপুর এলাকার হাজী কামাল দেওয়ানের ছেলে মো. জুলহাস দেওয়ান (৪৫)।
র্যাব বলছে, মোসাদ্দেক ও জাকারিয়া ২০০৮ সালের আড়াইহাজার থানার একটি হত্যা মামলার আসামি। ২০১৩ সালের ১২ জুন এই মামলার রায়ে আদালত তাদের দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। আর জুলহাস নিজের শিশু সন্তানকে হত্যার দায়ে ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর সাংবাদিকদের বলেন, “শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন ৬ অগাস্ট বিকালে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা বিদ্রোহ করেন। তারা কারাগারের ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হন।
“তারা কারাগারের দক্ষিণ অংশের দেয়াল ভেঙে গর্ত করতে থাকলে তা প্রতিহত করা হয়। এক পর্যায়ে কারা অভ্যন্তরের বৈদ্যুতিক খুঁটিকে মই হিসেবে ব্যবহার করে পশ্চিম পাশের দেয়াল টপকে ২০৩ জন বন্দি পালিয়ে যায়। এ সময় কারারক্ষিদের গুলিতে ছয়জন বন্দি মারাও যান।”
এই ঘটনার পর পলাতক বন্দিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আড়াইহাজার উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জ সদরে পৃথক অভিযান চালিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান।
র্যাবের অধিনায়ক জানান, মোসাদ্দেক ও জাকারিয়াকে ২০১৩ সালের ১৮ জুন আসামিদের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে তারা নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন।
আর জুলহাসের বিরুদ্ধে নিজের সন্তানতে হত্যা ছাড়াও আরও পাঁচটি মামলা রয়েছে।