সংঘর্ষে আশিকসহ উভয় পক্ষের আটজন আহত হন।
Published : 01 Jul 2024, 01:10 PM
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শরীফ আল রাজীব জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার বিকালে আশিক সরকারের মৃত্যু হয়।
২২ বছর বয়সী আশিক বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই গ্রামের মিরন সরকারের ছেলে এবং চান্দাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এলাকাবাসীর বরাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “চান্দাই গ্রামে একটি সরকারি খাস পুকুর ইজারা নিয়ে উপজেলার পারকোল গ্রামের কসলেম উদ্দিন ও চান্দাই গ্রামের সাহেব আলীসহ কয়েকজন মাছ চাষ শুরু করেন। গত ১৫ জুন রাতে আশিকের বাবা মিরন সরকার লোকজন নিয়ে জোর করে ওই পুকুরের মাছ ধরে আনেন।
পরদিন এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হলে সন্ধ্যায় মিরনের লোকজন কয়েকটি মোটরসাইকেলে গিয়ে চান্দাই গ্রামের করিম খাঁর মোড়ে সাহেবের ছেলে সাকিবকে তুলে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় সাকিবের স্বজনরা এগিয়ে গেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে আশিকসহ উভয় পক্ষের আটজন আহত হন। এরপর থেকে আশিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।”
সংঘর্ষ ও ছেলে আহত হওয়ার ঘটনায় ১৬ জুন আশিকের বাবা বড়াইগ্রাম থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন বলে শরীফ আল রাজীব জানান।
মামলার আসামিরা হলেন- প্রতিপক্ষের সাহেব আলী প্রামাণিক (৫৪), ইয়াহিয়া (৪৫), জাহিদুল ইসলাম (৪৫), নায়েব প্রামাণিক (৫৬), শাকিব হোসেন (২২), সুইট হোসেন (২৩), কামরুল ইসলাম (৪০), আবদুস সোবাহান (৫৯), আবদুস সোহরাব (৬০), দুলাল হোসেন (৪২) এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫ থেকে ১৬ জন।
জাহিদুল কারাগারে থাকলেও অন্যরা জামিনে মুক্ত রয়েছেন জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হত্যাচেষ্টার মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য হবে। আর বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।