গুরুতর আহত মারুফা বেগমকে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
Published : 10 Sep 2024, 12:10 AM
ময়মনসিংহের ত্রিশালে দুর্বৃত্তদের হামলা থেকে স্বামীকে বাঁচতে গিয়ে আহত হয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা এক নারী।
সোমবার দুপুরে ত্রিশাল পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের সম্পাদকের বাসায় হামলা-ভাঙচুর চালানোর সময় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন।
গুরুতর আহত মারুফা বেগমকে (২৮) ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের সম্পাদক খায়রুল আলম রফিক বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বেশ কিছুদিন ধরে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এর জের ধরে স্থানীয় আব্দুল জলিলের নির্দেশে তার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়।
কিন্তু হামলার সময় তাকে বাসায় না পেয়ে স্থানীয় বাবু মিয়া, তন্ময়, তোহা মিয়া, রতন মিয়া ও পারভেজসহ ১০-১২ জন তার অন্তঃসত্ত্বা শ্যালিকা মারুফা বেগম, তার স্বামী মো. রয়েল মিয়ার ওপর হামলা চালায়।
রয়েল মিয়া বলেন, “আমার বড় ভায়রা ভাইকে কয়েকদিন ধরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল হামলাকারীরা। আমি এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে আমাকেও হুমকি দেয় তারা। এরই অংশ হিসেবে দুপুরে তারা আমার ওপর হামলা করলে আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে এলে সেও আহত হয়।”
আহত মারুফা বেগম বলেন, “কিশোর গ্যাং প্রধান বাবু আমার বড় বোনের স্বামীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। পরে তারা বাড়িতে এসে তাকে খোঁজাখুঁজি করে। তাকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলা করে। আমার স্বামীকে মারার সময় ফেরাতে গেলে আমাকে লাথি দিয়েছে, মারধর করেছে।”
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন রয়েল মিয়া।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল জলিল বলেন, “আমি কোনোভাবেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমার সামনে কয়েকজন যুবক হামলা করেছে। তাদের আমি চিনি না।
“অন্তঃসত্ত্বা নারীর ওপর হামলা হয়, সেটা অবশ্যই ন্যাক্কারজনক ও বুঝতে পারিনি। প্রকৃত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, “অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। মারধরের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।”