প্রাণীদের বিচরণ এবং প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় ১ জুন থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
Published : 11 Jun 2024, 03:58 PM
সুন্দরবনের পশ্চিম বনবিভাগের শাকবাড়িয়ায় টহল দেওয়ার সময় বনরক্ষীদের দেখে নৌকায় ১৩২ কেজি হরিণের মাংস ফেলে পালিয়েছে শিকারিরা।
মঙ্গলবার ভোরে সুন্দরবনের চালকি খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাশিয়াবাদ ও শাকবাড়িয়া ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে চালকি খাল এলাকা থেকে ১৩২ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে।
“তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বনরক্ষীদের দেখে নৌকায় হরিণের মাংস ফেলে পালিয়ে যায় শিকারিরা।”
এই বন কর্মকর্তা বলেন, সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ এবং বনে প্রাণীদের বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় ১ জুন থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাসের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই সময়ে বনে ঢুকে শিকার করা একেবারে পেশাদার শিকারিদের কাজ।
এ ঘটনায় মামলা এবং হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
সুন্দরবন ঘেরা কয়রা উপজেলার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়রার একটি ছোট নদী পেরোলেই সুন্দরবনের গহীন জঙ্গল।
পেশাদার হরিণ শিকারিরা রাতে গোপনে সুন্দরবনে ঢুকে নাইলনের দড়ির এক ধরনের ফাঁদ হরিণের নিয়মিত যাতায়াতের পথে পেতে রাখেন। চলাচলের সময় হরিণগুলো সেই ফাঁদে আটকে যায়।
তারপর বনরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে হরিণের মাংস লোকালয়ে এনে বিক্রি করা হয়। বর্তমানে সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ সময়ে চোরা শিকারিদের তৎপরতা বেড়েছে।
বিশেষ করে কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের আংটিহারা, জোড়শিং, ৪ নম্বর কয়রা, উত্তর বেদকাশী ও মহেশ্বরীপুর এলাকায় হরিণ শিকারি চক্রের দৌরাত্ম্য বেশি।