বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার তদন্ত দল বৃহস্পতিবার আলামতগুলো দেখেছেন।
Published : 27 Jun 2024, 09:42 PM
বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদির পালানোর ঘটনায় ডেপুটি জেলারসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে৷
দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে কারা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে সাময়িক বরখাস্তের এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছেন বগুড়া জেল সুপার আনোয়ার হোসেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়ারা হলেন- ডেপুটি জেলার হাসানুজ্জামান, প্রধান কারারক্ষী শরীফ উদ্দীন, দুলাল হোসেন, হাবিলদার আব্দুল মতিন এবং কারারক্ষী আরিফুল ইসলাম।
এছাড়া কারারক্ষী ফরিদুল ইসলাম ও হোসেনুজ্জামানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার তদন্ত দল বৃহস্পতিবার আলামতগুলো দেখেছেন। সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছেন। কালও (শুক্রবার) যাবে। পলাতক আসামিদের সঙ্গেও কথা বলবে।
কারাগারের এত এত নিরাপত্তারক্ষীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা কীভাবে পালাল- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, এসব বিষয়ও তদন্তে আসবে, তদন্তের কোনো ঘাটতি থাকবে না।
এর আগে বুধবার ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে কারাগারের জাফলং ভবনের কনডেম সেলের চার আসামি পালিয়ে যান।
এই চার আসামি হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার আজিজুল হকের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম মঞ্জুর (৬০), বগুড়া জেলার সদর থানার মো. ইসমাইল শেখের ছেলে মো. ফরিদ শেখ (২৮), কাহালু থানার মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (৩১) ও নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার ইসরাফিল খার ছেলে আমির হামজা (৩৮) ।
পুলিশ ও জেলা প্রশাসন জানায়, কারাগারের ওই ভবনটি খুবই পুরনো। ভবনের ছাদে কোনো রড নেই; এটি চুন ও সুরকি দিয়ে তৈরি। আসামিরা এক মাস ধরে বালতির হাতল দিয়ে ছাদ ফুটো করেন। কারাগারের প্রাচীর টপকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য তারা নিজেদের গামছা, চাদর ও পুরনো কাপড় জোড়া দিয়ে রশি তৈরি করেন।তবে পালিয়ে যাওয়ার মাত্র ১৫ মিনিটের মাথায় পুলিশ তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন...
ছাদ ফুটো করে পালানো সেই ফাঁসির কয়েদিদের বিরুদ্ধে নতুন মামলা
জেল পালানো ফাঁসির ৪ আসামি যেভাবে গ্রেপ্তার
কারাগার থেকে পালানো জাকারিয়া কাহালুর মেয়রের ছেলে
বগুড়া কারাগার: বালতির হাতল দিয়ে এক মাস ধরে ছাদ ফুটো করেন চার আসামি
বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে ৪ ফাঁসির আসামির চম্পট, পরে ধরা