বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত যশোরে ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
Published : 06 Oct 2023, 11:53 AM
রাতভর বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে যশোর পৌর এলাকায়। খুবই ধীরগতিতে পানি নিষ্কাশন হওয়ায় তলিয়ে আছে শহরের রাস্তা ও বসত বাড়ি।
নাগরিকদের অভিযোগ- শহরের ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিস্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ বৃষ্টিকে আর্শীবাদ হিসেবে দেখছেন জেলা কৃষি বিভাগ।
যশোর বিমানবাহিনী নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত যশোরে ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১১৯ মিলিমিটার। এর আগে বুধবার বৃষ্টি হয়েছিল ৩৫ মিলিমিটার।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রাতভর ভারি বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে আছে যশোরের রাস্তাঘাট। প্লাবিত হয়ে আছে যশোর পৌর এলাকার ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড।
এসব এলাকার অনেকের বসত ঘরেও পানি ঢুকেছে। ঘরে ও বাইরের জলাদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে আছেন ওই ওয়ার্ডের মানুষেরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও শহরের সমস্ত পানি নিষ্কাশনের যে ড্রেন তা গত চার বছর পরিস্কার করে না পৌরসভা, সে কারণে এ ভোগান্তি।
শহরের শংকরপুর এলাকার গোলাম মাজেদ বলেন, যশোর শহরের পানি নিষ্কাশন হয় শহরের দক্ষিণ পাশের বিল হরিণায়। সেখান থেকে মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে পানি বেরিয়ে যায়। কিন্তু গত চার বছর ধরে বিল হরিণায় পানি নিষ্কাশনের যে ড্রেন তা পরিস্কার করে না পৌরসভা।
এ বিষয়ে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহেদ হোসেন নয়ন বলেন, এলাকাবাসীসহ তিনি নিজে পৌর মেয়রের কাছে এ বিষয়ে জানিয়েছেন কিন্তু ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পৌরসভা এ দুর্ভোগ নিরসনের স্থায়ী পরিকল্পনা নিচ্ছে।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকসিমুল বারী অপু বলেন, পানি নিষ্কাশনের প্রধান ড্রেনটি কাচা হওয়ায় বারবার ময়লা আবর্জনা জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তাই ড্রেনটি পাকা করে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তবে এসময়ের বৃষ্টিকে ফসলের জন্য আর্শীবাদ হিসেবে উল্লেখ করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক বলেন, এখনো পর্যন্ত যে বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টি পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্যই খুবই দরকারি। এটি সামগ্রিকভাবে ফসলের জন্য আর্শীবাদ।
“বিশেষ করে আমন ধানের ক্ষেত্রে এই ধরনের বৃষ্টি বড় আর্শীবাদ। আগামী বোরো মৌসুমেও পানির স্তর স্বাভাবিক রাখবে এই বৃষ্টির পানি।”
তবে এই বৃষ্টি যদি আগামী ৩-৪ দিন বা তারও বেশি স্থায়ী হয় সেক্ষেত্রে সবজির জন্য কিছু ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। বিশেষ করে যে সকল কৃষক আগাম রবি শষ্যর চাষের জন্য প্রস্তৃতি নিয়ে রেখেছেন। সেক্ষেত্রে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হবে।
আবার এই মুহূর্তে যদি কোনো কৃষক কোনো ধরণের ফসলের বীজ রোপন করে থাকেন, তাহলে টানা বৃষ্টিতে কিছু ক্ষতির শিকার হতে পারেন বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।