এজাহারে বলা হয়েছে, ফরিদকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।
Published : 07 Apr 2025, 02:51 PM
পিরোজপুর সদরে এক তরুণকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করেছে; যে ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে চোখ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার রাতে টোনা গ্রামে এ হামলার ঘটে বলে পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আব্দুস সোবাহান জানান।
এ ঘটনায় আহত ফরিদ শেখের মা সালমা বেগম বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ৩/৪ ব্যক্তিকে আসামিকে করে পিরোজপুর সদর থানায় এজাহার দিয়েছেন।
আহত ১৭ বছর বয়সী ফরিদ পিরোজপুর সদরের টোনা গ্রামের ইলিয়াছ শেখ ও সালমা বেগমের পালিত ছেলে।
আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার রাজারকাঠী গ্রামের নাছির কাজীর ছেলে রাকিব কাজী, শহীদ হাওলাদারের ছেলে রুপম হাওলাদার, মোতাহার কাজীর ছেলে নাজির কাজী, ছিদ্দিক সিকদারের ছেলে শাকিল সিকদার ও শাকিল সিকদারের ছেলে সিয়াম সিকদার।
এজাহারে বলা হয়েছে, মামলার ১ নম্বর আসামি রাকিব কাজীর সঙ্গে রোজার মধ্যে ফরিদ শেখের টোনা গ্রামের একটি মসজিদে কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসাও করে দেয়। কিন্তু রাকিব ফরিদের উপর ক্ষিপ্ত ছিল। এর জেরে রোববার রাতে ফরিদকে একা পেয়ে কয়েকজনের সহায়তায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওসি আব্দুস সোবাহান জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকায় গুলিতে চোখ হারায় ফরিদ শেখ। তার ওপর হামলার ঘটনার জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।