২০২৩ সালের ১৬ মে মসজিদের ভেতরে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন নাজমুল।
Published : 27 Apr 2025, 06:16 PM
চুয়াডাঙ্গায় আরবি পড়তে আসা ছাত্রকে ধর্ষণের দায়ে এক মসজিদের মোয়াজ্জিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল।
দণ্ডপ্রাপ্ত নাজমুল ইসলাম (২৭) জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ঘুষিপাড়া গ্রামের সেলিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি ওই এলাকার একটি মসজিদের মোয়াজ্জিন ও আরবি শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশি প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
পিপি শাহজাহান মুকুল বলেন, স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রটি আরবি শিক্ষার জন্য নাজমুল ইসলামের আছে আসতো। ২০২৩ সালের ১৬ মে মসজিদের ভেতরে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন নাজমুল।
বাড়ি ফিরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরদিন শিশুটির মা থানায় এজাহার করেন।
একই বছরের ৩০ জুন আসামি নাজমুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ আলী মিয়া।
পরে আদালতে বিচারকাজ চলাকালে সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মামলার একমাত্র আসামি নাজমুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
অর্থদণ্ডের টাকা ভুক্তভোগী শিশুর কল্যাণে ব্যবহার করার আদেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান পিপি এম এম শাহজাহান মুকুল।