কয়েকদিন ধরে ট্যাংকারটি একটি ওয়ার্কশপের পাশে রাখা ছিল। সকাল থেকে এর লিকেজ দিয়ে গ্যাস বের হচ্ছিল।
Published : 30 Sep 2024, 10:33 PM
গাজীপুরের শ্রীপুরে এলপিজি বহনকারী ট্যাংকারের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে তিন নারীসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে শ্রীপুর-রাজাবাড়ী সড়কের দেওয়ান বাড়ির সামনে একটি ওয়ার্কশপের পাশে রাখা ট্যাংকারের লিকেজ থেকে এ ঘটনা ঘটে বলে কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন।
দগ্ধরা হলেন- বাঘেরহাট জেলা সদরের এমদাদুল হকের স্ত্রী হেলেনা আক্তার (৪৫), লালমনিরহাটের হাতিবান্দা উপজেলার বনচৌকি গ্রামের শামসুল হকের স্ত্রী হালিমা আক্তার (৪০), হাবিবের স্ত্রী রিতা আক্তার (২০) এবং শামসুদ্দিন আহমেদের ছেলে মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ (৩৫)।
দগ্ধরা সবাই স্থানীয় মোহাম্মদ আলী দেওয়ানের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
গুরুতর দগ্ধ হালিমা আক্তারকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
বাকিরা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন ধরে ট্যাংকারটি স্থানীয় নজরুলের ওয়ার্কশপের পাশে রাখা ছিল। সকাল থেকে ওই ট্যাংকারের লিকেজ দিয়ে গ্যাস বের হচ্ছিল। এলাকাবাসী কোম্পানির লোকদের বিষয়টি জানালেও তারা গুরুত্ব দেয়নি।
স্থানীয়রা আরও জানান, ট্যাংকার লিকেজ দিয়ে গ্যাস বের হয়ে আশপাশের দোকান, বাসা-বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার দুপুরের দিকে ট্যাংকার ভরতি গাড়ির (ট্রাকের) টুলবক্স মেরামতের সময় লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে সড়কের পাশের বাড়ির তিন নারীসহ চারজন দগ্ধ হন।
আগুন ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা চেষ্টা করেও নেভাতে পারেননি। ট্যাংকারের গ্যাস শেষ হলে আগুন নেভে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, “গ্যাস একটি ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য পদার্থ। ওই কোম্পানির দায়িত্বহীনতার কারণে এমনটি ঘটেছে।”
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক রুচি বলেন, “তিন নারীকে দগ্ধ অবস্থায় স্বজনেরা এ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে গুরুতর দগ্ধ হালিমা আক্তারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইজনকে এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।”
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।“