হামলায় কারাগারটি অকার্যকর হয়ে পড়ার পর প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজের ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে, বলেন নতুন আসা জেল সুপার।
Published : 13 Dec 2024, 09:56 PM
অকার্যকর হয়ে পড়ার দীর্ঘ চার মাস সাত দিন পর কার্যক্রম শুরু হয়েছে শেরপুর জেলা কারাগারের।
বৃহস্পতিবার বিকালে আদালত থেকে ১৩ জন এবং জামালপুর জেলা কারাগার থেকে আসা পাঁচ বন্দিকে নিয়ে কারাগার সচল করা হয় বলে শুক্রবার রাতে নবাগত জেল সুপার মো. শফিউল আলম জানান।
শুক্রবার আরও ১৮ জন বন্দিকে আদালত থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে কারাগার কেন্দ্রিক নানা সমস্যা ও সংকটের নিরসন হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ অগাস্ট বিকালেই দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালায় শেরপুর জেলা কারাগারে।
তখন ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করলে কারাগার থেকে পালিয়ে যান সাজাপ্রাপ্তসহ গুরুতর অভিযোগের মামলার ৫১৮ বন্দি।
বাকি বন্দিদের শেরপুর থেকে জামালপুর জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে পলাতক অনেককে আটক করে জামালপুর কারাগারে নিয়ে রাখে।
নতুন আসা জেল সুপার শফিউল আলম বলেন, দুষ্কৃতকারীদের হামলায় অকার্যকর হয়ে পড়ার পর গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে কারাগারের সংস্কার কাজ চলছিল। প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই সংস্কার কাজের ইতোমধ্যে ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে।
সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ দুটি প্রাক্কলনের কাজ এখনও বাকি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শেরপুরের বন্দিদের জামালপুর জেলা কারাগারে আনা-নেওয়াসহ বাড়তি ঝামেলার বিষয়টি বিবেচনা করে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কাজ শেষ না করেই কারাগারটি সচল করা হয়েছে। এখন থেকে নতুন বা পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের এ কারাগারেই আনা হবে।
সীমিত পরিসরে সচল করার আগে সংস্কারকৃত কারাগার পরিদর্শন করেছেন শেরপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. সুলতান মাহমুদ। এ সময় অন্য বিচারকরাও তার সঙ্গে ছিলেন।