এজাহার নামীয় আসামিদের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা, মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা আছে বলে পুলিশ জানায়।
Published : 14 Feb 2024, 06:38 PM
যশোরের অভয়নগরে যুবলীগ নেতা মুরাদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর মামলা করেছেন নিহতের বোন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে নওয়াপাড়া পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সালামসহ ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করে লিলি বেগম মামলাটি করেন বলে অভয়নগর থানার ওসি এসএম আকিকুল ইসলাম জানান।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা চারজনের নাম মুরাদ মৃত্যুর আগে তার বাবাকে জানিয়ে গেছেন বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি।
এ চারজন হলেন- আব্দুস সালাম, শাহিন ফরাজী, কেএম আলী ওরফে মোহাম্মদ আলী ও রিপন গাজী।
এ ছাড়া এজাহারনামীয় বাকি আসামিরা হলেন- আজিম শেখ, বিল্লাল হোসেন, রুহুল আমিন খাঁ, আলমগীর শেখ, রাসেল মিনা, ও বাবলু।
তারা সবই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মী। এদের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা, মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা আছে বলে পুলিশ জানায়।
গত রোববার রাতে নওয়াপাড়া বাজার থেকে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হন নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড শাখা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা ওই পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সালামের কার্যালয় ভাঙচুর করেন।
এদিকে, গত রোববার রাতের ঘটনার পর বুধবার পর্যন্ত জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এখনো জানা যায়নি খুনের কারণ।
তবে নিহতের ভাই ফরহাদ হোসেন ও বোন লিলি বেগম অভিযোগ করেন, যুবলীগের কমিটি গঠন ও নওয়াপাড়া নৌ বন্দরের ঘাটের আধিপত্য নিয়ে আসামিদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল মুরাদের। এর আগেও দুবার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি স্বজনদের।
অভয়নগর থানার ওসি এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, “হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের পশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার রহস্যও উদঘাটন হবে।”
আরও পড়ুন...