৫ অগাস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর জনতা মামুনকে পিটিয়ে হত্যা করে।
Published : 26 Aug 2024, 01:29 AM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ অগাস্ট চাঁদপুরের কচুয়া থানার এসআই মামুনুর রশিদ সরকার নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে।
রোববার বিকালে এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে কচুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান। ওই মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলায় অজ্ঞাত এক থেকে ১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, ৫ অগাস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা কচুয়া থানায় হামলা চালায়। থানার ওসিসহ অন্যরা পালিয়ে যাওয়ার সময় এসআই মামুনুর রশিদকে ৩০ থেকে ৪০ জন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পাশের বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ মাঠে নিয়ে আধামরা করে ফেলে যায়।
পরে সেখান থেকে তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার আবদুল্লাহপুরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার আরও বলা হয়, মামুনুরকে হত্যার পাশাপাশি একদল জনতা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে থানায় আক্রমণ করে। এ সময় থানার গাড়ি ভাঙচুর, অস্ত্র-গুলি ও মোবাইল লুট করা হয়। যার ক্ষতির পরিমাণ ১৫ লাখ টাকা।
এসআই মামুনুরের স্ত্রী হাসিনা মমতাজ বলেন, “আমার স্বামী কেমন ছিল, সবাই জানেন। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।”