ওসি বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দেয়নি, তাই মুচলেকা নিয়ে জুলহাসকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
Published : 30 Oct 2024, 10:33 PM
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে দরপত্র জমাদানে বাধা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ ওঠেছে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে হাসপাতাল চত্বর থেকে সেনাসদস্যরা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাসকে (৪০) আটক করে পুলিশে দেয়।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি আব্দুল কাদের বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশৃঙ্খলার বিষয়ে কোনো অভিযোগ দেয়নি। টেন্ডার প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে বলে তত্ত্বাবধায়ক জানিয়েছেন। তাই মুচলেকা নিয়ে জুলহাসকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস পৌরসভার সাপটানা এলাকার বাসিন্দা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের রোগীদের পথ্য সামগ্রী সরবরাহসহ তিনটি গ্রুপে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করেন তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মোকাদ্দেম। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের বাক্সে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। কিন্তু জুলহাস পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে অন্যদের দরপত্র জমাদানে বাধা দেন।
তখন ঠিকাদাররা বিষয়টি সেনাসদস্যদের জানান। সেনাসদস্যরা এসে ধাওয়া দিয়ে জুলহাসকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ২৪ জন ঠিকাদার দরপত্র জমা দেন।
এ ব্যাপারে জানতে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাসকে মোবাইলে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ বলেন, “জুলহাসকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। টেন্ডারের যুবদলের কেউ বাধা দেয়নি।”
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আবদুল মোকাদ্দেম বলেন, “টেন্ডারে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় সেনাসদস্যেদের সহায়তা চাওয়া হয়। সেনাসদস্যরা হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে আটক করেছিল। তবে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।”