মহাস্থানগড়ের রূপালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক জোবায়েনুর ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
Published : 14 Jul 2024, 07:22 PM
বগুড়ার অর্থ আত্মসাত মামলায় মহাস্থানগড়ের রূপালী ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপককে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া ওই শাখার দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পাঁচ বছর এবং তিন গ্রাহককে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার বগুড়ার বিশেষ জজ মো. শহীদুল্লাহ ছয় আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আবুল কালাম আজাদ জানান।
দণ্ডিতরা হলেন- মহাস্থানগড়ের রূপালী ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক জোবায়েনুর রহমান, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইশরাত জাহান ও মাহাতাব হোসেন এবং গ্রাহক আজমল হোসেন, জাহিদুর রহমান ও মোশাররফ হোসেন।
ব্যবস্থাপক জোবায়েনুরকে তিনটি ধারায় ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় রায়ে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, জোবায়েনুর বিভিন্ন সময় পে-অর্ডার থেকে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে ২ কোটি ৬৯ লাখ ১ হাজার ৮০১ টাকা আত্মসাৎ করেন। তাকে সহযোগিতা করেন তিন গ্রাহক।
২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ওই শাখার ব্যবস্থাপক জোবায়েনুর চা খাওয়ার কথা বলে ব্যাংক থেকে বের হয়ে যাবার পর থেকে নিখোঁজ হন।
তার নিখোঁজের সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাংকে আমানত জমাকারী গ্রাহকরা তাদের হিসাব দেখার চেষ্টা করেন।
অনেকেই অভিযোগ করেন, তাদের হিসাবের গড়মিল পাওয়া গেছে। পরে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চার সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ২ কোটি ৬৯ লাখ ১ হাজার ৮০১ টাকা জালিয়াতি করে আত্মসাৎ করার সত্যতা পাওয়ায় রূপালী ব্যাংকের বগুড়া অঞ্চলের ডিজিএম সরদার মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।
পরে তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেয়।