পরিদর্শক রিপন দাস দাবি করেন, আমীর হোসেন মনে করতেন তার স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত।
Published : 05 Mar 2025, 05:40 PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় স্ত্রী ও শ্যালিকার মরদেহ ঘরে রেখে পালিয়ে যাওয়া যুবক আমির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার বেলা ৩টায় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম চতুর্থ আদালতের বিচারক আসমা জাহান নিপার কাছে ১৬৪ ধারায় আসামি জবানবন্দি দেন বলে কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস জানান।
মো. আমীর হোসেন (২৮) কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। বছর দেড়েক আগে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামের রওশন আলীর মেয়ে জ্যোতি আক্তারকে বিয়ে করেন। জ্যোতি সন্তানসম্ভবা ছিলেন।
রোববার গভীর রাত পর্যন্ত জ্যোতি ও তার বোন স্মৃতি আক্তারের (১৪) সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে বসে গল্প করেন আমীর। পরদিন সকালে দুই বোনের মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। তবে আমীর পালিয়ে যান। সোমবার রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বাকুলিয়া থেকে পুলিশ আমীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পরিদর্শক রিপন দাস দাবি করেন, আমীর হোসেন মনে করতেন তার স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত। তাই তিনি তাকে কয়েকবার বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। সেটি দেখে ফেলায় শ্যালিকা স্মৃতিকেও একইভাবে হত্যা করেন এবং সোনার গহনা নিয়ে পালিয়ে যান।