এ ছাড়া অন্তত ২০টি অটোরিকশা ও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়।
Published : 29 Jan 2025, 12:24 AM
ভোলায় টার্মিনালের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক এবং অটোরিকশার চালকদের মধ্যে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত পাঁচটি অটোরিকশা এবং একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার সরকার জানান।
শ্রমিকরা জানান, অটোরিকশার চলাচল ও তাদের স্ট্যান্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বাস মালিকদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জেরে সন্ধ্যা থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় অটোরিকশা ও বাস পুড়ানো হয়। এ ছাড়া অন্তত ২০টি অটোরিকশা ও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনীসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ২ সাংবাদিককে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে সাংবাদিক টিপু সুলতান, গিয়াস উদ্দিন (৩৫), সালাউদ্দিন (৩৫), নুরুল আমিন (৬৫), রাকিব (২৮), সুমন (২২), সোহেল (৩৫) নাম পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উভয় পক্ষের সমর্থকরা মুখোমুখি রয়েছেন।
ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বাচ্চু মোল্লা বলেন, “পৌরসভার নির্দেশ অনুযায়ী, সিএনজি (অটোরিকশা) মালিকদের আমরা স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি সরিয়ে নিতে বলেছি। এ কারণে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।”
সিএনজি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন বলেন, “এ ঘটনা বাস মালিক সমিতির পরিকল্পিত। আগে বাস সরিয়ে নিয়ে আমাদের সিএনজির উপরে তারা আগুন দেয়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে ডাকাডাকি করার পরেও তারা গেইট বন্ধ করে দেয় এবং আমাদের সিএনজির আগুন নেভায়নি।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার সরকার বলেন, “আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কত জন আহত হয়েছেন আমরা এখনো নিরূপণ করতে পারিনি।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভোলার জেলার প্রশাসক মো. আজাদ জাহান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরিফুল হক।