পদ্মা-মেঘনায় ‘মা ইলিশ’ সংরক্ষণে নৌ শোভাযাত্রা

পদ্মা-মেঘনায় মা ইলিশ সংরক্ষণে নৌ র‌্যালি

চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে পথসভা, প্রচারপত্র বিতরণ ও নৌ শোভাযাত্রা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া এ তিন নদীর মোহনা বড় স্টেশন মোলহেডে অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা টাস্ক ফোর্স কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান।

এ সময় ডিসি বলেন, “নদী আমার, মাছ আমার, এটার ব্যবস্থাপনাও আমার। সচেতন হলে চাঁদপুরের ইলিশের ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে। এ অভিযান সফল করার জন্য প্রশাসনের সব বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।”

“আমরা কোনো প্রকার ছাড় দেব না। রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত মেনে চলা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেলে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। শুধুমাত্র ইলিশ নয়, এ ২২ দিন সব ধরনের প্রকার মাছ ধরাও নিষিদ্ধ।”

তিনি বলেন, “আমরা কাউকে চিনতে চাই না, নিষেধাজ্ঞার সময়ে যারা নদীতে মাছ শিকার করবেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। গত বছর এ সময় কার্ডধারীদের ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছিল; এ বছর ২৫ কেজি করে দেওয়া হবে। নদীতে কোনো জেলেকে মাছ ধরা অবস্থায় পাওয়া গেলে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাই না, কোনো জেলে বা তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হোক।”

হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশিদের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন নৌ-পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান ও চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস।

সংক্ষিপ্ত পথসভা শেষে মা ইলিশ সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্যরা। পরে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মেঘনা মোহনায় নৌ শোভাযাত্রা বের হয়।

ইলিশ অভয়াশ্রম কর্মসূচির আওতায় মা ইলিশ রক্ষার জন্য চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকায় ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।