২০১৬-১৭ অর্থবছরের শেষের দিকে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যর সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
Published : 08 Jul 2023, 02:40 PM
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে সাপাইর গ্রামের ভাতছালা বিলের খালে সেতু নির্মাণের পাঁচ বছর পার হলেও দুই পাশে নেই সংযোগ সড়ক। ফলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পাঁচ গ্রামের হাজারো মানুষ।
জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের শেষের দিকে ইছামতী নদী থেকে বের হওয়া খালের ওপর ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যর সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
চালা ইউনিয়নের সাপাইর এবং রতনদিয়া গ্রামকে যুক্ত করা সেতুটি ব্যবহার করা গেলে গ্রাম দুটির পাশাপাশি কল্যাণপুর, উত্তর চানপুর ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের বরুনা গ্রামের বাসিন্দাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হতো।
গ্রামগুলোর শিক্ষার্থীরা এই রাস্তা দিয়ে কল্যাণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বরুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাপাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু সেতুটি ব্যবহার করতে না পারায় তাদেরও স্কুলে যেতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলাল জানান, ২০১৭ সালের শেষের দিকেই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। তবে ওই সময় স্থানীয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় কিংবা সংশ্নিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর দুপাশে গাইড ওয়াল বা সংযোগ সড়ক করে দেয়নি।
“যে কারণে সেতুর ওপর যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটেও ওঠা যায় না। পরে এলাকার লোকজন কিছু মাটি ফেলে বাঁশ দিয়ে সেতুতে ওঠার ব্যবস্থা করেন।”
কল্যাণপুর এলাকার বাসিন্দা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাদল হোসেন বাদশাহ বলেন, “নির্মিত সেতুর দুই পাশে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা জরুরি। সংযোগ সড়ক হলে হাজার হাজার মানুষের চলাচলের পথ সুগম হবে।
“সেতুর দুই পাশে সংযোগ রাস্তা হলে এলাকার মানুষের যোগাযোগ, হাটবাজার, বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া সুবিধাও হবে।"
হরিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মানিকুজ্জামান বলেন, "আমি এ উপজেলায় যোগদানের পূর্বে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬০ মিটার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। গাইড ওয়াল বা সংযোগ সড়কের আলাদা বাজেট নেই।
“তবে ওই সময় ঠিকাদার দুপাশের ‘উয়িঙ্গ ওয়াল’ করেছিল। কিন্তু সে ওয়ালেরও মাটি ধ্বসে গেছে। আমি শিগগিরই পরিদর্শন করে সংযোগ সড়কের জন্য ব্যবস্থা নেব।”