গ্রেপ্তারদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, বলেন ওসি।
Published : 08 Dec 2024, 12:10 AM
গাজীপুরের টঙ্গীতে নারীকে পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে এনে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে মহানগরীর বড়বাড়ী ও দত্তপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কায়সার আহমেদ রাতে বলেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বগুড়ার শেরপুর থানার উলিপুর (নতুনপাড়া) গ্রামের শাহিনুর আলম পূর্ণ (৩১), জামালপুর জেলা সদরের জামিরা গ্রামের নাজমুল ইসলাম (২৩) ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার অলহরি গ্রামের শান্তা আক্তার (৩৫)।
পূর্ণ ও নাজমুল গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন কলমেশ্বর এলাকায় এবং শান্তা টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার সাইদ মৃধা রোডের আওলাদ হোসেনের ১০তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
ভুক্তভোগীর করা মামলার বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ২৬ বছর বয়সি ওই নারী মহানগরীর বাসন থানা এলাকায় বসবাস করেন। প্রায় দেড় বছর আগে টিকটকের মাধ্যমে পূর্ণর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের মাঝেমধ্যে যোগাযোগ হত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পূর্ণ ওই নারীকে পোশাক কারখানায় ভালো চাকরি নিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন ও তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। গত ১২ নভেম্বর বিকালে ওই নারী গাছা থানাধীন বড়বাড়ী এলাকায় পূর্ণর সঙ্গে দেখা করতে যান, পূর্ণর সঙ্গে নাজমুল নামে আরেক যুবকও ছিলেন।
তখন ‘কথা আছে’ বলে টঙ্গীর দত্তপাড়া সাঈদ মৃধা রোডে নারী সহযোগী শান্তার ভাড়া বাসায় মেয়েটিকে নিয়ে যান পূর্ণ ও নাজমুল।
সেখানে শান্তার সহযোগিতায় ওই দুই যুবক তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
ওসি কায়সার আহমেদ বলেন, “ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার আসামি পূর্ণ ও নাজমুলকে বড়বাড়ী এবং শান্তাকে দত্তপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
“ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”