সহপাঠীদের ভাষ্য, পরীক্ষার দিন তারা ঐশীকে পরীক্ষা দিতে দেখেনি।
Published : 23 Jan 2025, 07:16 PM
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তানজিউল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তানজিউল নিজেই বিষয়টি নিশিবচত করেছেন।
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন-সদস্য সচিব ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হান্নান মিয়া এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ইলিয়াছ প্রামানিক।
এই তদন্ত কমিটিকে অবিলম্বে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশী ছাত্রলীগের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।
শিক্ষার্থীরা জানান, ঐশী ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রথম সারিতে থাকতেন। গত ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাইদ হত্যার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগের নেত্রী ঐশী স্নাতকোত্তরের প্রথম সেমিস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই পাস করেছেন। গত ডিসেম্বরে ওই পরীক্ষা হয়। ঐশী পরীক্ষা না দিলেও তার ফলাফল প্রকাশ পায়। এ নিয়ে বিভাগের ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করে।
এ বিষয়ে ঐশীর সহপাঠীদের ভাষ্য, ওই কোর্সের পরীক্ষার দিন তারা ঐশীকে পরীক্ষা দিতে দেখেনি। তবে অন্য সময় বা অন্য কক্ষে পরীক্ষা দিয়েছে কি-না সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নয়।
এ বিষয়ে জানতে ঐশীর মোবাইল ফোনে একাধিবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে গণিত বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমীন বলছেন, “আমি পরীক্ষা জুলাই-অগাস্টের আগেই নিয়েছি। মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের সব বিষয় আগেই শেষ করে ফেলছি আমরা। তখন ঐশী পরীক্ষা দিয়েছিল।”
কিন্তু ওই ব্যাচের দেওয়া পরীক্ষার নোটিশ থেকে জানা গেছে, গণিত বিভাগের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২ ডিসেম্বর।
পরীক্ষা না দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়ে জানতে জাাইলে এ বিষয়ে গণিত বিভাগের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক মো. হান্নান মিয়া বলেন, “সংশ্লিষ্ট কোর্স টিচাররা এসব দেখাশোনা করেন। তারা আমাদের রেজাল্ট দেন। আমরা সেটা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠাই।”
জুলাই অভ্যুত্থানের পরে ঐমীকে কখনো বিভাগে দেখেননি বলে গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক কমলেশ চন্দ্র রায়ের দাবি। তিনি বলেন, “তার পরীক্ষার বিষয়ে আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি।”