আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলেছেন চিকিৎসক।
Published : 28 Apr 2025, 12:03 AM
জুলাই অভ্যুত্থানে ঢাকায় নিহত মাহমুদুল হাসান রিজভীর ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর বালিংটন মোড়ে শাহরিয়ার হাসান রিমন (১৬) হামলার শিকার হয় বলে তার মা জানিয়েছেন।
তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শহরের হরিনারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের জামাল উদ্দিনের ছেলে।
তারা জেলা শহর মাইজদীর বালিংটন মোড়ে ভাড়া বাসায় থাকে। তার বাবা একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন।
রিমনের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান রিজভী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
তার মা ফরিদা ইয়াছমিন সাংবাদিকদের বলেন, দুই দিন আগে রিমনের স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে বাইরের কয়েকটি ছেলের ঝগড়া হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, রিমনের কারণে বাইরের ছেলেরা তার বন্ধুদের মারতে না পেরে ওপর ক্ষুদ্ধ হয়। এদিন বিকালে রিমন স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে ওই ছেলেরা তাকে পেছন থেকে অতর্কিতে পিঠে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় লোকজন তখনই তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলেছেন।
ফরিদা বলেন, রিমনের পিঠে তিনটিসহ মোট ছয়টি ছুরিকাঘাত করা হয়। তার পিঠের আঘাতগুলো ফুসফুস পর্যন্ত চলে গেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, হামলাকারীরা ভেবেছিল রিমন মারা গেছে। যখন জানতে পারে সে বেঁচে আছে তখন তারা ফের হামলা করতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল পর্যন্ত যায়।
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আবু তাহের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।