“সময় যত যাচ্ছে, অবস্থা ততই বেগতিক হচ্ছে,” বলেন পুলিশ কর্মকর্তা খায়রুল।
Published : 22 Aug 2024, 01:06 PM
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৭ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন, কিছুক্ষণ পরপর সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের এসপি খায়রুল আলম জানান, বুধবার গভীর রাত থেকেই মহাসড়ক পানিতে প্লাবিত হতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুমিল্লার নবগ্রাম রাস্তার মাথা থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক তলিয়েছে।
একই সময়ে ফেনীর লালপুল এলাকায় অন্তত ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ডুবেছে। ওই অংশে যানবাহন চলাচলে চরম বেগ পেতে হচ্ছে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী হানিফ এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার সোহেল মিয়া বলেন, “ভোরে যখন কক্সবাজার যাচ্ছিলাম, তখনই মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীর বিভিন্ন এলাকায় পানি দেখেছি। মহাসড়ক প্লাবিত হওয়ায় গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।”
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি বাসের চালক আবদুল কাদের বলেন, “মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীর বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পানি। ফলে গাড়ি চালানো অনেক কষ্টকর। ধীরগতি হওয়ায় সড়কে যানজট লেগেছে।
“প্রতিনিয়ত পানি বাড়ছে। এতে যাত্রীদের পাশাপাশি চালকরাও আতঙ্কে রয়েছে।”
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার অন্তত ৫টি স্থানে পানি বেড়েই চলেছে। ধীরে ধীরে প্লাবিত এলাকা বাড়ছে।
একই অবস্থা ফেনীর লালপুলের আশপাশ এলাকার। এসব স্থানে মহাসড়ক ডুবে যাওয়ায় যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।
পুলিশ কর্মকর্তা খায়রুল আলম বলেন, “মহাসড়কের ফেনী ও চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন এলাকা বুধবার গভীর রাত থেকেই প্লাবিত হতে শুরু করে। সময় যত যাচ্ছে, অবস্থা ততই বেগতিক হচ্ছে।
“বর্তমানে যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে, সেসব এলাকায় যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। আমাদের সংশ্লিষ্ট হাইওয়ে থানা পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কুমিল্লা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।”