ডিবির গাড়ি থেকে একজন কনস্টেবল নেমে দুই ছাত্রলীগ নেতার কাছে যানজট থাকার পরেও কেন বারবার হর্ন দেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে জানতে চান।
Published : 10 Jun 2024, 10:40 PM
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগের মামলায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যার ঘটনায় সোমবার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে জানান জেলা ডিবির ওসি আব্দুল মতিন।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন- উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মুর্তজা তমাল (৩২) এবং সহসভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম রনি (২৮)। দুজনই উপজেলা সদরের কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বোয়ালমারীতে হাট ছিল। ভাঙা রাস্তা ও হাটের কারণে উপজেলা সদরের নাট মন্দির সংলগ্ন স্টেশন রোডে প্রচুর যানজট ছিল। সেখান দিয়ে ডিবি পুলিশের একটি গাড়ি যাচ্ছিল। ওই গাড়ির পিছনে ছাত্রলীগের দুই নেতা মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন।
যানজটের কারণে ডিবির গাড়ি সামনে এগোতে পারছিল না। কিন্তু পিছন থেকে ছাত্রলীগ নেতারা বারবার হর্ন দিচ্ছিলেন।
এ অবস্থায় ডিবির গাড়ি থেকে একজন কনস্টেবল নেমে দুই ছাত্রলীগ নেতার কাছে যানজট থাকার পরেও কেন বারবার হর্ন দেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে জানতে চান। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি ও পরে মারপিটের ঘটনা ঘটে। তখন পুলিশ দুজনকে থানায় নিয়ে যায়।
বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকী বলেন, “তখন আমাদের জেলার সভাপতি আসছিলেন। ডিবির গাড়ি ও যানজটের কারণে একটু দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। সভাপতি ছাত্রলীগের যোগ্য অভিভাবক। আমরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করি।
“ডিবির ওই গাড়িতে কোনো স্টিকার ছিল না, তাদের গায়েও কোনো পোশাকও ছিল না। এ কারণেই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে”, বলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বলেন, “খবর পেয়ে আমি রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পুলিশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত বিষয়টি মিটে যাবে।”
বোয়ালমারী থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।