২০১১ সালের ২২ জুন এক আসামির স্ত্রীকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে মফিজুরকে হত্যা করা হয় বলে জানান এপিপি।
Published : 20 May 2024, 10:01 PM
যশোর সদর উপজেলায় এক ইজিবাইক চালককে হত্যার ১৩ বছর পর পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার যশোরের অতিরিক্ত দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) মো. আসাদুজ্জামান।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়ারা হলেন- সদর উপজেলার ধানঘাটা গ্রামের বলরাম ঘোষের ছেলে গোপাল ঘোষ, হামিদপুর দক্ষিণপাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে কাজল, চাঁনপাড়া গ্রামের মফজেল বাড়ের ছেলে এনামুল, হামিদপুর বিশ্বাস পাড়ার মকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ইখতিয়ার বিশ্বাস এবং মনিরামপুর উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের হাছিম সরদারের ছেলে খোরশেদ আলম।
এর মধ্যে এনামুল, কাজল ও খোরশেদ রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
মামলার বরাতে এপিপি আসাদুজ্জামান বলেন, আসামি গোপাল ঘোষের স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ হত্যায় জড়িত সন্দেহে ২০১১ সালের ২২ জুন রাতে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক মফিজুর রহমানকে হত্যা করা হয়।
ঘটনার দুই দিন পর ২৪ জুন সকালে সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর ময়লাখানার পাশে ফারুকের পুকুরে মফিজুরের লাশ পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় মফিজুরের স্ত্রী আয়েশা বেগম অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
এপিপি বলেন, “মফিজুর খুন হওয়ার আগে একই বছরের ১৫ এপ্রিল দুধ বিক্রেতা গোপাল ঘোষের স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ খুন হয়েছিলেন। গোপাল ঘোষের ধারণা, মফিজুর তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। পরে মফিজুরকে সুমিত্রা ঘোষ হত্যা মামলায় আসামিও করা হয়।
“সেই মামলায় গ্রেপ্তারের কয়েকদিন পর জামিনে মুক্তি পান মফিজুর। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন গোপাল ঘোষ। পরে গোপাল ঘোষের নেতৃত্বে মফিজুরকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।”
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, “মামলা তদন্তের এক পর্যায়ে মফিজুরকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে ইখতিয়ার এবং খোরশেদকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মফিজুরকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
“মফিজুরকে মদ পান করিয়ে তারা পাঁচজন মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেন। গোপাল ঘোষের স্ত্রী হত্যার প্রতিশোধ নিতে মফিজুরকে হত্যা করা হয়।”
মামলার তদন্ত শেষে এসআই নাসির উদ্দিন পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন বলে জানান আসাদুজ্জামান।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী। তবে রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন।