বাজারে ধানের সংকট এবং দাম বেশির কারণে চাল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি জানান।
Published : 21 Mar 2024, 01:56 PM
সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে এক মাসের বেশি সময় স্থিতিশীল থাকার পর উত্তরের জেলা দিনাজপুরে চালের বাজার অস্থির হয়ে ওঠেছে।
জেলায় সুগন্ধি জাত ছাড়া সব ধরনের চালের দাম কেজিতে অন্তত তিন থেকে ছয় টাকা করে বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
গত জানুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের পর দিন থেকে হঠাৎ করেই সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ৩০০ টাকা বৃদ্ধি পায় এবং খুচরা বাজারে কেজিতে প্রকারভেদে ৪ থেকে ৭ টাকা বৃদ্ধি পায়।
সেসময় সরকারের মজুদবিরোধী অভিযানসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কেজিপ্রতি দুই টাকা কমে আসে। এর এক মাসের বেশি সময় বাজার স্থিতিশীল থাকলেও রমজানের শুরুতেই হঠাৎ করেই আবার সব ধরনের চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
শহরের চক বাজারের চাল ব্যবসায়ী প্রশান্ত রায় জানান, বস্তাপ্রতি মিনিকেট চাল ৩ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৩১০০ টাকা, আটাশ চাল ২৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৯০০ টাকা, ঊনত্রিশ চাল ২৬০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৭০০ টাকা, সুমন স্বর্ণা চাল ২৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫৫০ টাকা, গুটি স্বর্ণা চাল ২২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৪০০ টাকা হয়েছে।
তিনি বলেন, খুচরায় প্রতি কেজি মিনিকেট ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা, ৬০ টাকার আটাশ চাল বেড়ে ৬৫ টাকা, ৫৫ টাকার ঊনত্রিশ চাল ৫৮ টাকা, ৪৮ টাকার গুটি স্বর্ণা ৫২ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
আরেক চাল বিক্রেতা সুরেশ চন্দ্র জানান, সুগন্ধি জাতের চাল ব্যতীত সব ধরনের চালের দাম মিল গেইটেই বেশি। বাজারে ধানের সংকটের কারণে সব মিল চাহিদা মতো চালও দিতে পারছে না।
দাম বাড়লেও বাজারে চালের ক্রেতা কম বলে জানান এই চাল বিক্রেতা।
চালকল মালিকরা বলছেন, ধানের সংকট এবং বেশি দামে তাদের ধান কিনতে হচ্ছে। ধানের অভাবে অনেক মিলে উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গেছে বলে তারা জানান।
দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও আছিয়া অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী বলেন, মিল গেইটেই চালের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। বাজারে ধানের সংকট এবং দাম বেশির কারণে চাল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
অনেক ছোট মিল চাল উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। বোরো ধান উঠলে চালের দাম কমে আসবে বলে তিনি জানান।