চারটি সমিতির সভাপতিকে ১৮ জানুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
Published : 05 Feb 2025, 05:19 PM
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় সরকারি গো-চারণ ভূমিতে ঘাসের পরিবর্তে শসার চাষ করায় চারটি দুগ্ধ উৎপাদন সমিতির সভাপতিকে করা শোকজের জবাব ‘সন্তোষজনক না হওয়ায়’ তাদের আবারও নোটিশ দিয়েছে মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ।
তারা হলেন- শাহজাদপুর উপজেলার বৃ-আঙ্গারু প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল হাকিম মানিক, একই এলাকার মধ্যপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি তাহেজ প্রমানিক, সরকারপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ফারুক আহমেদ ও দক্ষিণ বাঙ্গালপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল মজিদ আকন্দ।
মিল্কভিটার উপ-মহাব্যবস্থাপক (সমিতি) মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনা তদন্তে ২১ ডিসেম্বর মিল্কভিটার পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। যে কারণে বাথান ভূমির বৃ-আঙ্গারু ও হাড়নি মৌজায় বরাদ্ধ দেওয়া ভূমিতে অবৈধভাবে শষা চাষ করায় চারটি সমিতির সভাপতিকে ১৮ জানুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
“তারা ওই নোটিশের জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি। এ কারণে ৩ ফেব্রুয়ারি আবারও তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) লিটুস লরেন্স চিরান সরজমিন গো-চারণ ভূমির বাথান এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
বুধবার বিকালে তিনি বলেন, “অভিযুক্ত কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাইলে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হয়। আমরা সেদিকেই অগ্রসর হচ্ছি।”
মিল্কভিটার আওতায় এক হাজার একরের বেশি গো-চারণ ভূমি রয়েছে। এসব গো-চারণ ভূমি ৪৯টি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে সরকারিভাবে স্বল্প মূল্যে বাৎসরিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই গো-চারণ ভূমি গবাদি পশুর লালন-পালন এবং দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যবহার করার কথা।
অথচ স্থানীয় দুগ্ধ সমিতি এবং মিল্কভিটার কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে শাহজাদপুর উপজেলার বৃ-আঙ্গারু এলাকায় প্রায় ১৫০ বিঘা জমি নিয়ম বহির্ভূতভাবে সাব-বরাদ্দ নিয়ে কৃষকরা শসা চাষ করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
এতে শসা চাষিরা লাভবান হলেও গো-চারণ ভূমি কমে যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন খামারিরা।