২০২২ সালে প্রেমিকা রিতার পেটে ছুরিকাঘাত করেন জাহাঙ্গীর।
Published : 02 Jun 2024, 05:20 PM
নরসিংদীতে নারী হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার নরসিংদীর তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আ ন ম ইলিয়াস আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার হালিম জানান।
দণ্ডিত জাহাঙ্গীর আলম (২৫) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
যাবজ্জীবনের পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় রায়ে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর এলাকার কবির মিয়ার মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার রিতা (৩৩) পলাশ উপজেলার তারগাঁওয়ে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক অফিসে বাবুর্চি কাজ করতেন। তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে জাহাঙ্গীর আলমের।
চাকরির সুবাদে ব্র্যাক অফিসের ভেতরেই বসবাস করতেন রিতা। প্রেমিক জাহাঙ্গীর ঢাকার কেরাণীগঞ্জে চাকরি করতেন। প্রেমের টানে প্রায়ই ওই ব্র্যাক অফিসে যাতায়াত করতেন জাহাঙ্গীর।
পরবর্তীতে রিতা বিয়ে করার কথা বললে জাহাঙ্গীর অস্বীকৃতি জানান। ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর গোপনে ব্র্যাক অফিসের ভেতরে জাহাঙ্গীর রিতার সঙ্গে থাকেন। এর পরের দিন সকালে রিতাকে পেটে ছুরিকাঘাত করে আহত করেন জাহাঙ্গীর।
এ সময় রিতাকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিতার মৃত্যু হয়।
এরপর নিহতের ভাই রাজু মিয়া বাদী হয়ে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর পলাশ থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত জাহাঙ্গীরকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেয়।