চিকিৎসক জানান, ফয়জুরের শরীর জুড়ে মারধরের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
Published : 11 Feb 2024, 01:26 PM
যশোর সদর উপজেলায় ‘চোর সন্দেহে’ একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান।
নিহত ফয়জুর রহমান (২৪) ওই উপজেলার সতীঘাটা গ্রামের তোলাগোলদার পাড়ার জালাল উদ্দীন গাজীর ছেলে। ফয়জুর স্থানীয় একটি ভাটা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তোলাগোলদার পাড়ার আব্দুল্লাহ ও তার দুই ছেলে রড চুরির অভিযোগে শনিবার রাতে তাদের বাড়িতে ফয়জুরকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাকে মারধর করা হয়।
ওসি বলেন, অসুস্থ হলে রোববার সকালে তারাই ফয়জুরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ ও তার দুই ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
নিহতের বাবা জালাল উদ্দীন গাজী জানান, তার ছেলে স্থানীয় কানাইতলার ভৈরবা ইট ভাটার শ্রমিক ছিলেন। শনিবার রাত চারটার দিকে তিনি খবর পান তার ছেলেকে আব্দুল্লাহর বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি ওই বাড়িতে গেলে তাকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
তিনি জানান, পরে সকালে যখন ফয়জুরকে ওই বাড়ির লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায় তখন তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আল হাসান বলেন, “সকাল ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে ফয়জুরকে হাসপাতালে আনা হয়। তার অবস্থার সংকটাপন্ন ছিল। শরীর জুড়ে মারধরের চিহ্ন ছিল। ওয়ার্ডে ভর্তির পরপরই তার মৃত্যু হয়।”