কর্তৃপক্ষ বলছে, শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে কারখানা এলাকায় উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছিল।
Published : 03 Nov 2024, 07:29 PM
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকার তুসুকা গ্রুপের ছয়টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার সকালে কারখানার সামনে এ সংক্রান্ত নোটিস সাঁটিয়ে দেওয়া হয়।
বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে তুসুকা জিন্স লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিটেড ও তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড।
কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিসে উল্লেখ করে, গত শনিবার থেকে শ্রমিকদের একটি দল বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে অযৌক্তিক দাবিতে ধর্মঘট শুরু করে।
কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শ্রমিকরা সকালে হাজিরা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। পরে কারখানার প্রধান গেইটে এসে জড়ো হয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করেন।
কর্তৃপক্ষ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একাধিকবার শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানালেও শ্রমিকরা তা উপেক্ষা করেন।
শ্রমিকদের একটি অংশ অস্থিতিশীল আচরণ করেন, যা দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও মারামারির মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, শ্রমিকদের এমন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ শ্রম আইনের আওতায় অবৈধ ধর্মঘট হিসেবে গণ্য হয়। কারখানার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সম্পত্তির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় তুসুকা গ্রুপ বাধ্য হয়ে ৩ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে কারখানাগুলোর কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।
তুসুকা গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে কারখানাগুলো পুনরায় খোলার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
কারখানার মহাব্যবস্থাপক মাসুম হোসেন বলেন, “আমাদের কাছে খবর ছিল আজ কিছু কারখানায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা আছে। ফলে শ্রম আইন অনুযায়ী কারখানাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”
তবে শ্রমিকদের অনেকে বলছেন, তারা হাজিরা বোনাস, নাইট বিল, টিফিন বিলসহ কিছু সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ কোনাবাড়ি জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু তালেব বলেন, “বেশকিছু দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করতে পারেনি।
“ফলে কর্তৃপক্ষ রোববার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের ছয়টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে নোটিস দিয়েছে।”