‘স্কুলে সহপাঠীদের সঙ্গে দুষ্টুমি করায় ওই শিক্ষিকা ছাত্রটির মুখে আঘাত করে।’
Published : 28 Nov 2022, 12:11 PM
বরিশালে শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে তার দাঁত ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
নগরীর পুরান কয়লাঘাট এলাকার বাণীমন্দির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিশু ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওই শিক্ষার্থী জানায়, রোববার দুপুরে স্কুলে সহপাঠীদের সঙ্গে সে দুষ্টুমি করছিল। এতে ‘ক্ষিপ্ত হয়ে’ তুহিন কণা ম্যাডাম স্কেল দিয়ে তার মুখে আঘাত করে।
এ সময় তার ঠোঁট কেটে যায় এবং উপরের পাটির একটি নতুন গজানো দাঁত পড়ে যায়।
ছেলেটির বোনের অভিযোগ, তুনি কণা নামের ওই শিক্ষিকা তার ভাইকে মারধরের পর কোনো চিকিৎসাও দেননি। দুই শিশু সহপাঠীর সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে। পরে তারা চিকিৎসা করিয়ে ভাইকে সুস্থ করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তিনি আরও বলেন, “ওই শিক্ষিকা রাগী। প্রতিদিন বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের পেটায়। শিশুরা দুষ্টুমি করবে, এটাই স্বাভাবিক। এ জন্য হাতে-পায়ে পেটালে তো কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ওই শিক্ষিকা এলোপাতাড়ি পেটায়।”
এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে ছেলেটির বোন জানান, এলাকার কয়েকজন এসে তার বাবাকে অনুরোধ করেছে মাফ করে দেওয়ার জন্য। তাই কোথায়ও কোনো অভিযোগ করেননি।
শিক্ষার্থীর বাবার ভাষ্য, “ওই শিক্ষিকাকে অভিভাবকরাও ভয় পান। এর আগেও তিনি এভাবে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার ভয়ে এই কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায়না।”
প্রধান শিক্ষিক সুষমা ঘোষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিশু শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত না তুলতে এর আগেও তুহিন কণাকে সাবধান করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।“
“রোববার দ্বিতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে পেটানোর ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।“
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস বলেন, বাণীমন্দির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে পেটানো হয়েছে বলে শুনেছি।
“শিক্ষার্থী নির্যাতন দূরের কথা, তাদের ধমক দেওয়ারও নিয়ম নেই। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে তুহিন কণাকে মোবাইলে ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।