Published : 02 May 2025, 06:48 PM
টানা তিন দিনের ছুটিতে শহরের যান্ত্রিকতার কোলাহল ভুলে প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে হ্রদ-পাহাড়ের জেলা রাঙামাটিতে ভিড় করেছেন পর্যটকরা। তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে জেলার দর্শনীয় স্থানগুলো।
একইসঙ্গে ঘুরতে আসা মানুষের কারণে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে তিনদিনের এই ছুটি। ফলে সেদিন থেকেই জেলার অন্যতম আকর্ষণ রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, ডিসি বাংলো, পলওয়েল পার্ক, রাজবাড়ি, কাপ্তাই লেকে ভিড় করছেন পর্যটকরা।
এছাড়া আসামবস্তি- কাপ্তাই সড়কসহ ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠা নীলাঞ্জনা রিসোর্ট, রাঙাদ্বীপ, বেরান্ন্য লেক, ইজোর, রান্ন্যেটুগুনসহ দৃষ্টিনন্দন মনোমুগ্ধকর কেন্দ্রগুলোয়ও পরিবার, প্রিয়জন ও আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে হাজির হচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকদের অনেকেই আবার কাপ্তাই লেকে ইঞ্জিন চালিত বোটে করে ভেসে বেড়াচ্ছেন।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ঝুলন্ত সেতুতে গিয়ে কথা হয় ঢাকা থেকে আসা খায়রুল হাসান জাহিনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, “আমরা আট বন্ধু মিলে বেড়াতে এসেছি। রাঙামাটির বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘুরেতেছি। এক পাশে পাহাড় আরেক পাশে লেকের অপরুপ সৌন্দর্যে খুব ভালো লাগছে।”
দুদিন ধরে বোট চালক ও মালিকরাও ব্যস্ততার সময় পার করছে বলে জানালেন পর্যটন নৌ-যান ঘাটের লাইনম্যান মো. ফখরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “টানা ছুটিতে ভালো পর্যটকের সমাগম ঘটছে। প্রচুর পর্যটক বোটে করে কাপ্তাই লেকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমাদের দৈনিক ২৫ থেকে ৩০টির মতো বোট ভাড়া হচ্ছে। ”
ঝুলন্ত সেতুর টিকেট কাউন্টারের দায়িত্বরত কর্মচারী মো. সোহেল জানান, “বৃহস্পতিবার দেড় হাজারের বেশি পর্যটক ঝুলন্ত সেতুতে ভ্রমণ করেছে। শুক্রবারও ভালো পর্যটক আসতেছে, আগের দিনের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে আশা করছি।”
রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, “বৃহস্পতিবার আমাদের হোটেল- মোটেলগুলো ৮০ শতাংশ উপরে বুকিং ছিল। আজকেও ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের মতো বুকিং রয়েছে।”
এদিকে, মেঘের রাজ্য নামে খ্যাত সাজেক ভ্যালিও এখন পর্যটকে মুখরিত। পাহাড়ের সঙ্গে মেঘের মিতালির সৌন্দর্য দেখতে সেখানে ছুটছেন পর্যটকরা।
সাজেক কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মণ বলেন, “বৃহস্পতিবার আমাদের রিসোর্ট-কটেজগুলোয় শতভাগ বুকিং ছিল। আজকেও (শুক্রবার) ৫০ শতাংশ বুকিং রয়েছে।”