জেলা আবহাওয়া অফিস বলছে, যেহেতু বাতাসের গতি ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে; ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরো বাড়বে।
Published : 27 May 2024, 05:06 PM
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চাঁদপুরে বাতাসের গতি ও বৃষ্টি বেড়েছে। অন্যদিকে চাঁদপুর-ঢাকাসহ সব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সোমবার ভোর ৪টা ২০মিনিট থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত জেলায় ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে বলে চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ মো. শোয়াইব জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের লঞ্চঘাটের প্রবেশ এলাকা মাদ্রাসা রোডে বাতাসে গাছ উল্টে সড়কে পড়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কগুলোতে যানবাহন সংখ্যা খুবই কম। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। বৃষ্টির কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া মেঘনার পশ্চিমাঞ্চলে চরাঞ্চলের সড়ক ও বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী বলেন, “ইউনিয়নের পুরোটাই চরাঞ্চল। এখানে ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে পানি স্বাভাবিকের চাইতে ৩ থেকে ৪ ফুট বেড়েছে।”
এলাকার মাটির সড়কগুলো অধিকাংশ স্থানে ভেঙেছে। তবে বাড়ি ঘরের তেমন কোনো সমস্যা হয়নি বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন- বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল চৌধুরী বলেন, “রোববার বিকাল ৫টা থেকে চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। উভয় পাড়ে প্রায় ৬০টি গাড়ি রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।”
উচ্চ পর্যবেক্ষক শোয়াইব বলেন, “জেলায় আজ ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের গতি রয়েছে ৬৪ কিলোমিটার।“যেহেতু বাতাসের গতি ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে; ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরো বাড়বে। চাঁদপুরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।”
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হোসেন বলেন, “ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে শনিবার রাত ১২টার পর চাঁদপুর থেকে লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
নৌ বন্দর এলাকার জেলে নৌকা, লাইটার জাহাজ ও যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।