Published : 02 May 2025, 02:22 PM
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় এক দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। হত্যার পর লাশের ওপর পাইপগান ও গুলি রেখে গেছে হামলাকারীরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মধ্য মাকহাটি এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি এম সাইফুল আলম।
নিহত ছানা মাঝি (৪৪) ওই এলাকার মোহাম্মদ মাঝির ছেলে।
এ ঘটনার পর নিহতের চাচাতো ভাই বাবু মাঝি লাশের ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করে লেখেন, “শিপন মাঝি হত্যার বদলা আমি একে একে নিমু...।” বাবু মাঝি শিপন মাঝির ছোট ভাই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে ছানা মাঝির স্ত্রীর ফাতেমা বেগম বলেন, “বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিতে বাসা থেকে আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। পরে রাত ১১টার দিকে আমার স্বামীকে হত্যা করে লাশের ওপর অস্ত্র রেখে যায় তারা।”
ওসি সাইফুল আলম বলেন, “প্রায় ২ যুগ আগে ছানা মাঝির বাবা মোহাম্মদ মাঝিকে হত্যা করেন শিপন মাঝি। এর প্রায় তিন মাস পর সানা মাঝিরা সাত ভাই মিলে শিপন মাঝিকে হত্যা করেন।”
তিনি বলেন, “৫ অগাস্টের ছানা মাঝি এবং তার ভাইরা নিজ গ্রাম ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেন। ছানা মাঝি ৯ মাস ধরে সদরের বজ্রযোগিনীর ইউনিয়নের ডেকরাপাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন।
“বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে ভাড়া বাসা থেকে তাকে ডেকে আলদি বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ছানা মাঝিকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশের সঙ্গে একটি পাইপগান ও দুটি গুলি পাওয়া গেছে।”
ফেইসবুকে ছানা মাঝির লাশের ছবি পোস্ট করা বাবু মাঝি প্রবাসে ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর দেশে ফেরেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে বাবু মাঝির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আতাউল করিম বলেন, রাত ৩টার দিকে ছানা মাঝিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল।
ওসি সাইফুল আলম বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।