জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় দেশি এ ফলটির বাণিজ্যিক চাষাবাদ আরও বিস্তৃত হবে বলে মনে করছেন ডিসি।
Published : 27 Sep 2024, 01:23 AM
টাঙ্গাইলের মধুপুর অঞ্চলের আনারস জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন-জিআই বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুনিম হাসানের সই করা প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের পাঠানো আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই ৫২ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে বলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নিবন্ধন সনদে উল্লেখ করা হয়।
টাঙ্গাইলের ডিসি শরীফা হক বলেন, “ঢাকার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টাঙ্গাইল। জেলাটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ। টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ও চমচমের পর এবার মধুপুরের আনারস জিআই পণ্য স্বীকৃতি পেল। এতে আমরা আনন্দিত, সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
জিআই পাওয়ায় এর বিশ্বব্যাপী ব্রান্ডিং এবং বাণিজ্যিক চাষাবাদ আরও বিস্তৃত হবে বলে মনে করেন ডিসি।
জিআইয়ের সুফল পেতে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে শরীফা হক বলেন, “টাঙ্গাইলের আরও কয়েকটি পণ্যের জিআই স্বীকৃতি পেতে আবেদন করা হয়েছে।”
আলতাফ হোসেন নামে স্থানীয় চাষি বলেন, তিনি ৬ বিঘা জমিতে আনারস চাষ করেছেন। এতে সব মিলিয়ে তিন লাখ টাকার মত খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজার অনুযায়ী খরচ বাদ দিয়ে এক থেকে দেড় লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।
মধুপুরের কৃষক ছানোয়ার হোসেন বলেন, “মধুপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য আমাদের আনারস। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা গর্বিত আনন্দিত। বিশ্ব মানচিত্রে এই আনারসের কল্যাণে মধুপুর উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে টিকে থাকবে।”
যদিও এই স্বীকৃতি আরো আগেই পাওয়ার দরকার ছিল বলে তিনি মনে করেন।
মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকুরা নাম্নী বলেন, “চলতি বছর জেলায় ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আনারসের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে মধুপুর উপজেলায় ৬ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে। গত বছর জেলায় ৭ হাজার ৬৬১ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। ২ লাখ ৮২ হাজার টন আনারস উৎপাদিত হয়েছে।”