“আসামিরা বিয়ানীবাজার যাওয়ার কথা বলে তার অটোরিকশায় ভাড়া ওঠেন। পরে তাকে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।”
Published : 03 Oct 2024, 06:41 PM
সিলেটে দশ বছর আগে হযরত আলী নামে এক অটোরিকশা চালককে হত্যা মামলায় পাঁচজনকে প্রাণদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) আব্দুস সাত্তার।
দণ্ডিরা হলেন-সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রওশন আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২১), শান্তিগঞ্জ উপজেলার বাদশা মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ (১৯), একই উপজেলার ফজিল বারীর ছেলে শিপু মিয়া (১৯), মুসুক মিয়ার ছেলে জাকারিয়া মুন্ন (২০) ও হরমুজ আলীর ছেলে মো. রুহল আমিন (২০)।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন না। তারা পলাতক রয়েছেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী জায়েদা বেগম সাংবাদিকদের জানান।
মামলার বিবরণে বলা হয়, “অটোরিকশা চালক হযরত আলী সুনামগঞ্জ জেলার মঙ্গলকাটা বাজারের জাহাঙ্গীরনগর এলাকার সাইদ মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকার আলমপুরে খালেদ মিয়ার কলোনিতে ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালাতেন। ২০১৪ সালের ১৭ অগাস্ট সকাল ১০টার দিকে তিনি অটোরিকশা নিয়ে বের হন।
“পথে আসামিরা সিলেটের বিয়ানীবাজার যাওয়ার কথা বলে তার অটোরিকশায় ভাড়া ওঠেন। পরে কৌশলে তাকে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। হযরতকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শুক্কুর আলী বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন।”
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত এ মামলার বিচারকাজ শুরু করে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাত্তার জানান।
রায় ঘোষণার পর নিহতের ছোট ভাই শুক্কুর আলী সাংবাদিকদের বলেন, “মামলার রায়ে আমরা খুশি। দ্রুত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানাই।’’