বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় একশ নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে তিনজনকে।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে দুইটি ককটেল বিস্ফোরণের পর এই মামলা করা হয়েছে বলে বাকেরগঞ্জের ওসি মো. আলাউদ্দিন মিলন জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের অদূরে টিএন্ডটি মোড় এলাকায় হঠাৎ বিকট শব্দে দুটি ককটেল বোমা বিস্ফোরণ হয়। এরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাল টেপ ও জর্দার কৌটা উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান রুবেল, যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান ও গাড়ুরিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ টিটুকে আটক করা হয় বলে জানান ওসি।
বাকেরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সত্যরঞ্জন খাসকেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নাশকতা ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড করে জনমনে ভীতি সঞ্চার ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন করার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগে থানার এসআই স্বপন কুমার দে বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
মামলায় ২৭ জন নামধারী ও অজ্ঞাত ৬৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা সবাই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী।
এ বিষয়ে বিএনপির বরিশাল দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ বানচাল করতে প্রশাসন নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে নিজেরাই বাদী হয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।”