লংমার্চটি নাগশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের নাখারগঞ্জ গ্রামে ফেলানীর বাড়িতে গিয়ে শেষ হবে।
Published : 16 Jan 2025, 01:45 PM
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা বন্ধ এবং হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে কুড়িগ্রামে শুরু হয়েছে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ কর্মসূচি।
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুড়িগ্রাম জেলা শহরের কলেজ মোড় থেকে শুরু হয় লংমার্চ।
এটি নাগশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের নাখারগঞ্জ গ্রামে ফেলানীর বাড়িতে গিয়ে শেষ হবে। সেখানকার বাজারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
কর্মসূচির শুরুতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, “আমরা বাংলাদেশের সীমান্তে কোনো লাশ দেখতে চাই না। বাংলাদেশের যত নাগরিককে সীমান্তে লাশ করা হয়েছে তার বিচার আর্ন্তজাতিক আদালতে করতে হবে।
“ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ হয়েছে, সেই বাংলাদেশ কোনো নতজানু পররাষ্ট্র নীতি মেনে নেবে না। আগামীতে বাংলাদেশে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা যদি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার জন্য কোনো দেশের দালাল হন তাহলে তাদের পরিণতি খুনি শেখ হাসিনার মতই হবে।”
তিনি বলেন, “আর একটি হত্যা হলে ওই কাঁটাতার ভেদ করে চোখ যতদূর যায় লংমার্চ নিয়ে আমরা ততদূরই যাব।”
ফেলানীসহ সীমান্তে সব নাগরিক হত্যার বিচার, সীমান্তে মরণঘাতী অস্ত্র বন্ধ, ‘শহীদ ফেলানী’র নামে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের নামকরণ, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাতিল করে সাম্যের ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ এবং কুড়িগ্রামের চরের জীবনজীবিক উন্নয়নে নদী সংস্কার- এই পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন সারজিস আলম।
লংমার্চে আরও উপস্থিত আছেন- ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসান, সমন্বয়ক রকিব মাসুদ।