এ ব্যাপারে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে।
Published : 28 Dec 2022, 05:24 PM
দুর্ঘটনার পর তিন দিন পেরিয়ে গেছে, এখন ভোলার মেঘনা নদীতে ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেলবাহী জাহাজটিকে ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী বাল্কহেডটিকে চিহ্নিত করা যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে বাল্কহেডটি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী সেটির কোনো নিবন্ধন নেই, কোনো নামও নেই।
এ ঘটনায় ডুবে যাওয়া জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ এর মাস্টার বাদী হয়ে রোববার একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানিয়েছেন ভোলা সদর মডেল থানার ওসি শাহীন ফকির।
বুধবার বিকালে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আরও বলেন, “জিডিতেও নির্দিষ্ট করে কোনো যানবাহনকে দায়ী করা হয়নি। বাদী বলেছেন, রোববার ভোরে জাহাজটি মেঘনায় ছিল। তখন অজ্ঞাত একটি জাহাজ এসে সেটি ধাক্কা দেয় এবং পরে ডুবে যায়।”
শনিবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জ্বালানি তেল লোড করে জাহাজটি চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। সেখানে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপোতে যাওয়ার কথা ছিল। রোববার ভোরে ঘন কুয়াশার মধ্যে তোলাতুলির কাঠিরমাথা এলাকায় বালুবাহী একটি বলগেটের সঙ্গে জাহাজটির সংঘর্ষ হয়। এতে জাহাজটি তলা ফেটে পানি ঢুকতে থাকে এবং একপর্যায়ে সেটি ডুবে যায়।
জাহাজে মোট ১৩ জন স্টাফ ছিলেন। পরে তাদের চিৎকার শুনে অন্য একটি বলগেট এসে তাদের উদ্ধার করে। ১৩ জনের একজন ছিলেন জিডির বাদী মাস্টার।
ঘটনার পর থেকেই ডুবে যাওয়া জাহাজটির নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে কোস্ট গার্ড।
বাহিনীর দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা কে এম শাফিউল কিঞ্জল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুর্ঘটনা রাতে ঘটেছে। ট্যাংকারের লোকজনও বলতে পারছে না কোন বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে।”
“বাল্কহেডের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নেই। তাই এখনও চিহিৃত করা সম্ভব হয়নি।”
ভোলার পূর্ব ইলিশা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আকতার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ট্যাংকারের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত বাল্কহেড চিহিৃত করা যায়নি। ফলে সেটি কোথায় আছে কেউ জানে না।”
ডুবে যাওয়া জাহাজটির তেলের মালিক পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। এই তেল চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরে পদ্মার ডিপোতে যাচ্ছিল।
জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পরদিন সোমবার থেকে সেটি উদ্ধারের কাজ শুরু করার কথা ছিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ)। কিন্তু জাহাজ উদ্ধারে সক্ষম কোনো উদ্ধারকারী জাহাজ নেই বিআইডব্লিউটিএর।
পরে বেসরকারি উদ্যোগে জাহাজটি উদ্ধারের পদক্ষেপ নেয় ‘সাগর নন্দিনী-২’ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। তারা চেষ্টা করেও গত তিন দিনের উদ্ধার করা শুরু করতে পারেনি।
তবে ‘সাগর নন্দিনী-২’ ডুবে যাওয়ার চতুর্থ দিনে, বুধবার সকাল থেকে সেটি উদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। যদিও ঘন কুয়াশা আর জোয়ার-ভাটার স্রোতের সমস্যার কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:
তেলবাহী জাহাজ ডুবি: চতুর্থ দিনে এসে উদ্ধার কাজ শুরু, গতি ধীর